আজকাল ওয়েবডেস্ক: শহর বা মফস্সল নয়, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেই উঠে এসেছেন ১৫০ জনেরও বেশি চিকিৎসক। মাত্র ৫০০ পরিবারের বাস করে ক্যানুগুলাভালসা নামের গ্রামটিতে। সেখানে কার্যত ঘরে ঘরেই রয়েছেন চিকিৎসক। গোটা দেশে আজ ‘ডাক্তারদের গ্রাম’ নামে পরিচিত ক্যানুগুলাভালসা।
কিন্তু যেখানে গোটা দেশেই রোগীর অনুপাতে চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল সেখানে এই গ্রামে অন্য ছবি কীভাবে? উত্তর লুকিয়ে আছে ইতিহাসে। গ্রামটির ভোলবদল শুরু হয় সত্তরের দশকে। সৌজন্যে, গ্রামের প্রথম এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক বেণ্ডি চন্দ্র রাও। তাঁর অনুপ্রেরণায় অন্ধ্রের এই গ্রামে শুরু হয় এক নীরব বিপ্লব। ১৯৮৫ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছরই এই গ্রাম থেকে দুই থেকে পাঁচ জন পড়ুয়া চিকিৎসক হয়েছেন। আজ তাঁরা এইমস, নিম্স, কিং জর্জ হাসপাতালের মতো দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও সুনামের সঙ্গে ডাক্তারি করছেন।
তবে সাফল্য পেয়েও নিজেদের শিকড়কে ভোলেননি কেউই। অনেকেই নিয়মিত গ্রামে ফিরে আসেন, আয়োজন করেন বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের। গ্রামের মানুষের পাশাপাশি উপকৃত হন পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারাও।
গ্রামের প্রবেশপথেই রয়েছে একটি মূর্তি। তবে সেই মূর্তি কোনও রাজনৈতিক নেতা বা দেব দেবীর নয়। মূর্তিটি গ্রামেরই তরুণ চিকিৎসক বেণ্ডি সতীশের। সতীশ এক পথ দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারান। গ্রামবাসীদের চাঁদায় তৈরি এই মূর্তিই যেন তাঁদের ডাক্তারদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালবাসার প্রতীক। গ্রামের আর এক চিকিৎসক বোড্ডেপল্লু সুরেশের কথায়, “ডাক্তার হওয়াই এখন আমাদের গ্রামের তরুণ প্রজন্মের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।”
