আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোগীকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তাঁর অসুবিধা ছিল বুকে। হৃদস্পন্দনের হার ছিল প্রায় ১০০। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ট্যাকিকার্ডিয়া। ভর্তির পরই শুরু হয় জ্বর। প্রায় দু’দিন ধরে প্রবল জ্বরের পর চিকিৎসকরা দেখেন, গোটা সময়টা তিনি প্রস্রাবও করেননি।
প্রস্রাব করানোর জন্য রোগীকে ক্যাথিটার পরিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। সঙ্গে শিরার মাধ্যমে দেওয়া শুরু হয় অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু তখনও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না ঠিক কী হয়েছে রোগীর। দু’দিন পর হাসপাতালেই হয় রহস্যের সমাধান। মধ্য তিরিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই রোগীর শরীরের ভিতরে যে এক ভয়ানক পরজীবী প্রাণী বাসা বেঁধেছে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। ভাবতে পারেননি চিকিৎসকেরাও।
ঠিক কী হয়েছিল ওই রোগীর? চিকিৎসকেরা গবেষণাপত্রে লিখেছেন, ক্যাথিটার পরানোর দু’দিন পরেই রোগীর মূত্রনালী দিয়ে কিলবিল করে বেরিয়ে আসে এক রক্তাভ পরজীবী। রোগীর দেহে পাওয়া ওই কৃমি পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে গিয়েছে সেটি আসলে একপ্রকার কৃমি। নাম ডিক্টোফাইমা রেনালে। রোগীর দেহ থেকে বেরিয়ে আসা সেই কৃমির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১.৮ ইঞ্চি, অর্থাৎ কৃমিটি প্রায় ১ ফুট লম্বা। পরিধি তিন থেকে চার মিলিমিটার।
