আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমের পথে বাধা হচ্ছিল উচ্চতা! ১.৪ কোটি টাকা খরচ করে পা লম্বা করলেন যুবক। আর তাতেই নাকি প্রেম জীবনে অভূতপূর্ব বদল এসেছে তাঁর। এমনই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার বাসিন্দা মোজেস গিবসন।
৪১ বছর বয়সি গিবসনের উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। কিন্তু সেই উচ্চতা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। তাই জীবনকে আমূল বদলে ফেলার এক দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যেমন ভাবা তেমন কাজ। খরচ করলেন বিপুল অঙ্কের টাকা, প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি)। করালেন এক জটিল অস্ত্রোপচার, যার নাম ‘লেগ-লেংদেনিং সার্জারি’ বা পা লম্বা করার অস্ত্রোপচার।
এই পদ্ধতিতে তাঁর ফিমার অর্থাৎ ঊরুর হাড় ভেঙে ফেলা হয়। এরপর সেখানে বসানো হয় চৌম্বকীয় রড, যা বেশ কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে তাঁর পা দুটিকে লম্বা করতে থাকে। এই কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়ার শেষে তাঁর উচ্চতা বাড়ে ৫ ইঞ্চি। এখন তিনি ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির একজন লম্বা পুরুষ। যুবকের দাবি, এই শারীরিক পরিবর্তন তাঁর প্রেমজীবনে জোয়ার এনেছে।
আরও পড়ুন: ১২ জন স্ত্রী! বাচ্চা করাই নেশা! ১০২ সন্তানের বাবা হয়ে অবশেষে থামলেন ৬৮-র মুসা, কেন ক্ষান্ত দিলেন? কী বললেন এ যুগের ধৃতরাষ্ট্র?
আরও পড়ুন: ‘ধরবে নাকি?’ বিরাট পুরুষাঙ্গ দুলিয়ে কুপ্রস্তাব দেন বিখ্যাত ‘খান’! বলিউডের অন্ধকার দিক নিয়ে বিস্ফোরক শার্লিন চোপড়া
তাঁর মতে, এই বদল শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিকও। তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর থেকে মহিলারা তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন আচরণ করছেন। তাঁর নিজের আত্মবিশ্বাসও এখন আকাশছোঁয়া। আগে, ডেটিং অ্যাপে, কম উচ্চতার কারণে তাঁকে কেউই পছন্দ করতেন না। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর থেকে তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘ম্যাচ’, ‘ডেট’ এবং প্রশংসা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গিবসন।
এই ধরনের অস্ত্রোপচার যথেষ্ট বিতর্কিত। এর আরোগ্য পর্ব অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, খরচ বিপুল এবং এর সঙ্গে নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকিও জড়িয়ে থাকে। কিন্তু ওই যুবকের কথায়, "খরচ হওয়া প্রতিটি পয়সা সার্থক।" তাঁর কাছে শারীরিক কষ্টের চেয়ে মানসিক এবং সামাজিক প্রাপ্তি অনেক বেশি মূল্যবান।
কিছুদিন আগে একই অস্ত্রোপচার করিয়ে শিরোনামে উঠে আসেন লিয়ন নামের বছর তেইশের এক যুবকও। নিজের উচ্চতা নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতে ভুগতে এমন পদক্ষেপ করেন তিনি যা দেখে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় নেটপাড়ায়।
লিয়ন জানিয়েছেন, তাঁর প্রাথমিক উচ্চতা ছিল পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি। কিন্তু নিজের উচ্চতা নিয়ে খুশি ছিলেন না তিনি। তাঁর বন্ধুরাও নাকি ঠাট্টা তামাশা করতেন তাঁকে নিয়ে। তিনি খর্বকায় বলে কটাক্ষ করতেন। এই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে লিয়ন সিদ্ধান্ত নেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করবেন। পায়ে অস্ত্রোপচার করান, সেই অস্ত্রোপচারের সাহায্যেই ২০ সেন্টিমিটার বা প্রায় আট ইঞ্চি দৈর্ঘ্য বেড়েছে তাঁর পায়ের।
কীভাবে হয় এই অস্ত্রোপচার? চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘এল ও এন’। এই পদ্ধতিতে পায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাড় - ফিমার কেটে দু’ভাগ করা হয়। তাঁর পর হাড়ে ধাতব রড বসিয়ে দুই প্রান্ত স্ক্রু দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়। রোজ ধীরে ধীরে এই স্ক্রু ঘুরিয়ে লম্বা করা হয় হাড়। প্রতিদিন প্রায় এক মিলিমিটার করে বৃদ্ধি পায় হাড়ের দৈর্ঘ্য। গোটা প্রক্রিয়া মারাত্নক যন্ত্রণাদায়ক। মাসের পর মাস শয্যাশায়ী হয়ে কাটাতে হয় রোগীকে।
