আজকাল ওয়েবডেস্ক: এ যেন আস্ত একটা গ্রাম! কিন্তু সকলেই একই সূত্রে আবদ্ধ। কারণ তাঁরা একই পরিবারের অংশ।
2
10
কর্তা একজন, কিন্তু গিন্নি ১২ জন, তাঁদের ১০২ জন সন্তান এবং সেই ছেলেমেয়েদের ঘরে সব মিলিয়ে ৫৭৮ জন নাতি-নাতনি।
3
10
এই ‘জাম্বো’ পরিবারের প্রধান ৬৮ বছরের মুসা হাসাহ্যা কাসেরা। উগান্ডার বুতালেজা জেলার বুগিসা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
4
10
একসময় গবাদি পশুর ব্যবসা ও কসাইয়ের কাজ করে ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন। তাই সংসার বাড়াতে দ্বিধা করেননি। তাঁর এই বিরাট সংসার বরাবরই গ্রামবাসীদের আলোচনার বিষয়।
5
10
কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলেছে। একদিকে শরীর আর সঙ্গ দিচ্ছে না, অন্যদিকে রোজগারও তলানিতে। এখন সম্বল বলতে মাত্র দুই একর চাষের জমি। এত বড় সংসারের ভরণপোষণ চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন মুসা।
6
10
তাই অবশেষে পরিবার আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীরা এখন গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মুসা অকপটে স্বীকার করেছেন, “এতগুলো মুখের অন্ন জোগানো আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্যও ভাল নেই।”
7
10
মাত্র ১৭ বছর বয়সে, ১৯৭২ সালে প্রথমবার বিয়ে করেছিলেন মুসা। তারপর একে একে সংসার বাড়তে বাড়তে আজ এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
8
10
বর্তমানে তাঁর সন্তানদের বয়স ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। খড়-মাটির তৈরি ছোট ছোট কুঁড়েঘর এবং একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে গাদাগাদি করে বাস করে গোটা পরিবার।
9
10
কে কোন স্ত্রীর সন্তান, কার কী নাম, তা মনে রাখতে রীতিমতো খাতা-কলম নিয়ে বসতে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ মেটাতে প্রতি মাসে একটি করে পারিবারিক সভাও ডাকেন তিনি।
10
10
তবে এত অভাব-অনটনের মধ্যেও মুসার একটি বড় গর্বের জায়গা রয়েছে। স্থানীয় মানুষদের মতে, তাঁর ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট সুশৃঙ্খল। এই বিশাল পরিবারে কোনও দিন অপরাধমূলক কাজ বা বড়সড় ঝামেলার কোনও নজির নেই। যা স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও এক বিস্ময়। এতজন সন্তানকে ভালভাবে বড় করে তোলার জন্য মুসার প্রশংসাও করেন গ্রামবাসী।