আজকাল ওয়েবডেস্ক: কখনও কখনও বাস্তব ছাপিয়ে যায় কল্পনাকেও। নেশার বশে নিজের মলদ্বার দিয়ে নয় নয় করে ১৫ টি ডিম পেটে ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। স্বাভাবিকভাবেই শরীরে তার এমন প্রভাব পড়ে যে রীতিমতো প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের হাতযশে রক্ষা পান বছর ২৯-এর ওই ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে নেদারল্যান্ডসে। বিজ্ঞানপত্রিকা ‘দ্য ডাচ জার্নাল অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে ঘটনা নিয়ে চিকিৎসকদের বয়ান। ‘কীভাবে মলাশয়ে আটকে যাওয়া বাহ্যিক জিনিস ধাপে ধাপে বার করবেন’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা লিখেছেন গোটা ঘটনার কথা। মধ্যরাতে তীব্র পেটে ব্যথা নিয়ে বছর ২৯-এর ওই ব্যক্তি ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে আসেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা যায় রোগী জিএইচবি নামক একপ্রকার মাদক গ্রহণ করেছেন। ফলত নিজের সমস্যা নিয়ে খুব পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারছিলেন না তিনি।
ইমারজেন্সি ওয়ার্ড-এর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন সেই মুহূর্তে রোগীর হৃদস্পন্দন পৌঁছে গিয়েছে ১২০ তে। পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে ফুলে রয়েছে তার পেট। চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়, পেটে বিষক্রিয়া হয়েছে রোগীর। তৎক্ষণাৎ করানো হয় সিটি স্ক্যান। আর সেই সিটি স্ক্যান দেখেই চোখ কপালে ওঠার অবস্থা ডাক্তারদের। দেখা যায় রোগীর পেটের ভিতর রয়েছে একাধিক মুরগির ডিম।
দেরি না করে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। সরাসরি পেট কেটে বার করা হয় ১৫টি মুরগির ডিম। পাশাপাশি দেখা যায় এতগুলি ডিম মলদ্বার দিয়ে ঢোকানোর ফলে ফেটে গিয়েছে তাঁর কোলন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃহদন্ত্র। জটিল অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউ-তে। শেষপর্যন্ত চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সুস্থ হয়ে ওঠেন রোগী।
