আজকাল ওয়েবডেস্ক: বয়সের ছাপ মুছে ফেলে ৩০ বছর আগের যৌবন ফিরিয়ে আনার চাঞ্চল্যকর গবেষণায় সাফল্য পেলেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। কেমব্রিজের বাবরাহ্যাম ইনস্টিটিউটের গবেষক দল ৫৩ বছর বয়সি মানুষের ত্বক কোষকে এমনভাবে পুনরুজ্জীবিত করেছেন, যাতে তা ২৩ বছরের মতো তরুণ ও কার্যক্ষম হয়ে উঠেছে! এই অভূতপূর্ব সাফল্যের মূলে রয়েছে এক বিশেষ পদ্ধতি— পার্শিয়াল সেলুলার রিপ্রোগ্রামিং। গবেষকেরা এর মাধ্যমে ইয়ামানাকা ফ্যাক্টর নামে পরিচিত চারটি বিশেষ প্রোটিন ১৩ দিনের জন্য নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় প্রয়োগ করেন।

সম্পূর্ণ রিপ্রোগ্রামিংয়ে কোষের মূল পরিচয় হারিয়ে যায়, তারা স্টেম সেলে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু এই আংশিক পদ্ধতিতে কোষের নিজস্বত্ব অটুট থেকে যায়— অর্থাৎ কোষ ‘ত্বক’ হিসেবেই কাজ চালিয়ে যায়, অথচ তার বয়স কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন কোষগুলো দ্রুত ক্ষত সারাতে পারে, বেশি কোলাজেন তৈরি করে এবং তরুণ বয়সের জিন-চিহ্নগুলিও সক্রিয় হয়ে ওঠে। মাইক্রোস্কোপে দেখলে কোষগুলি দেখতে আরও মসৃণ, সংযুক্ত, এবং টেকসই— এক কথায়, তরুণ!

সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হল— এই কোষ-যৌবন স্থায়ী প্রভাব ফেলছে। কয়েক সপ্তাহ পরে পরীক্ষাতেও তরুণত্বের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। এই গবেষণা ভবিষ্যতের পুনর্জন্ম-চিকিৎসার (regenerative medicine) ক্ষেত্রেই নয়, বরং বার্ধক্যজনিত সমস্যা— যেমন *ত্বকের জরা, বাত ব্যথা, এমনকি অ্যালঝাইমার রোগ* প্রতিরোধেও বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা শুধু বয়সকে ‘লুকোতে’ নয়, বরং কোষের গভীরে গিয়ে সময়কে উল্টো পথে হাঁটানোর বাস্তব দৃষ্টান্ত।

চিরযৌবনের সন্ধানে মানব সভ্যতা— হয়তো সেই স্বপ্ন আর দূরে নয়!