বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পর তাঁর শেষ অভিনীত সিনেমা ‘ইক্কিস’ নিয়ে এখন ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তাঁর ছেলে অর্থাৎ অভিনেতা সানি দেওল সমাজমাধ্যমে একটি আবেগঘন ভিডিও ভাগ করেছেন, যা দেখে চোখে জল অনুরাগীদের। 

 

সেই ভিডিওতে ধর্মেন্দ্রর একটি বিশেষ ইচ্ছার কথা উঠে এসেছে— তিনি চেয়েছিলেন তাঁর এই শেষ কাজ যেন ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশের মানুষই দেখেন। শুটিংয়ের শেষ দিনে ধর্মেন্দ্রর সেই ক্লিপটি এখন রীতিমতো ভাইরাল। সেখানে বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "আমি চাই এই সিনেমাটি ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের দর্শকই দেখুক। আজ শুটিংয়ের শেষ দিন, আমার মনটা আজ আনন্দে ভরে উঠেছে। সেই সঙ্গে বিষাদেও। আপনারা সবাই আমাকে অনেক ভালবাসা দিয়েছেন, যদি কোনও ভুল করে থাকি তবে আমায় মার্জনা করবেন।" ধর্মেন্দ্রর এই বার্তা কেবল একটি ছবির প্রচার নয়, বরং এটি দুই দেশের মানুষের মধ্যে মৈত্রীর এক সূক্ষ্ম আহ্বান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 


পরিচালক শ্রীরাম রাঘবনের পরিচালনায় ‘ইক্কিস’ সিনেমায় ধর্মেন্দ্রকে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে। শুটিং সেটের সেই ভিডিওতে ধর্মেন্দ্রর মুখে পরিচালক এবং মান্ডব ফিল্মস টিমের প্রশংসা শোনা গিয়েছে। তিনি জানান, পুরো টিম অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজটি করেছে এবং এই সিনেমার গল্পটি তাঁর হৃদয়ের খুব কাছের।

 


সানি দেওল ভিডিওটির ক্যাপশনে লিখেছেন, "বাবার সেই হাসি যা অন্ধকারের মাঝেও আলো ছড়াত। তাঁর ভালবাসা আমাদের হৃদয়ে চিরকাল থাকবে। তাঁর শেষ আশীর্বাদ হিসেবে ‘ইক্কিস’ আসছে। চলুন, নতুন বছরে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে তাঁকে সম্মান জানাই।" 

 

উল্লেখ্য, ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল বিনোদন জগতে। সিনেমা সমালোচকদের মতে, ধর্মেন্দ্র সব সময়ই সীমানা ছাড়িয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর এই শেষ ইচ্ছা ভারত-পাক সম্পর্কের বৈরিতার উর্ধ্বে গিয়ে সিনেমাকে এক ঐক্যের সেতুবন্ধন হিসেবে তুলে ধরেছে। এমনই ছবিটি নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশা এখন আকাশচুম্বী। নতুন বছরের শুরুতেই বড়পর্দায় কিংবদন্তি অভিনেতাকে শেষবারের মতো দেখতে মুখিয়ে আছেন তাঁর কয়েক কোটি অনুরাগীরা।

 


প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র তাঁর ৯০তম জন্মদিনের ঠিক আগে ২৪ নভেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ‘শোলে’ থেকে ‘সীতা অউর গীতা’—অসংখ্য কালজয়ী সিনেমার এই নায়ক না ফেরার দেশে। তাঁর প্রয়াণে চলচ্চিত্র জগতের একটি সোনালী যুগের অবসান ঘটল।