বাস্তব কখনও কখনও কল্পনার থেকেও অদ্ভুত হয়। রোগভোগের ক্ষেত্রেও একথা সত্য। এমন কিছু কিছু রোগ রয়েছে যেগুলি শুনলে মনে হবে, সেগুলি উঠে এসেছে কল্পগল্পের পাতা থেকে। রইল তেমনই কিছু রোগের কথা।
2
10
প্রিয়াপিজম: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে পুরুষাঙ্গ দীর্ঘক্ষণ ধরে উত্থিত থাকে, সাধারণত চার ঘণ্টার বেশি। এই উত্থিত অবস্থা যৌন উদ্দীপনা ছাড়াই হতে পারে।
3
10
শুনে মনে হতে এ আর মন্দ কী? চিকিৎসকেরা কিন্তু জানাচ্ছেন, প্রিয়াপিজম একটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা, কারণ এটি খুবই বেদনাদায়ক হতে পারে, যা পুরুষাঙ্গের টিস্যুর স্থায়ী ক্ষতি করে।
4
10
মূলত দু'ধরনের প্রিয়াপিজম দেখা যায়। ইস্কেমিক প্রিয়াপিজম: এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং বেদনাদায়ক প্রকার। যখন পুরুষাঙ্গ থেকে রক্ত বের হতে পারে না, তখন এটি ঘটে। নন-ইস্কেমিক প্রিয়াপিজম: এটি কম বেদনাদায়ক এমন ঘটে যখন পুরুষাঙ্গে খুব বেশি রক্ত প্রবাহিত হয়।
5
10
দ্বিতীয় যে রোগটির কথা বলা যেতে পারে সেটি হল- এনআরইএম অ্যারাউসাল প্যারাসোমনিয়া। এটি এক ধরনের ঘুমের ব্যাধি, যা সাধারণত গভীর ঘুমের ( ঘুমের তৃতীয় বা চতুর্থ স্তর) সময় ঘটে থাকে। এই অবস্থায় ব্যক্তি আংশিকভাবে জেগে ওঠে, কিন্তু পুরোপুরি সচেতন হয় না। ফলে, তাদের আচরণ অস্বাভাবিক বা বিভ্রান্তিকর হতে পারে।
6
10
রোগটির লক্ষণগুলোর মধ্যে ঘুমের মধ্যে হাঁটা। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে হাঁটাচলা করতে পারে, এমনকী জটিল কাজও করতে পারে, যেমন আসবাবপত্র সরানো বা গাড়ি চালানো।
7
10
রাতের আতঙ্কও এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। রোগী হঠাৎ করে চিৎকার করে জেগে উঠতে পারেন, এই অবস্থায় রোগীকে খুব ভীত বা বিভ্রান্ত দেখায়, দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্টও।
8
10
আরও একটি বিরল রোগ অ্যানর্গাজমিয়া। এটি এমন একটি যৌন সমস্যা, যেখানে একজন ব্যক্তি পর্যাপ্ত যৌন উদ্দীপনা সত্ত্বেও চরম যৌন তৃপ্তি বা অর্গাজম লাভ করতে পারেন না। এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই দেখা দিতে পারে। যৌন মিলনের সময় বা স্বমেহনের সময় কোনও ধরনের যৌন তৃপ্তি অনুভব করতে না পারা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।
9
10
রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন আরও একটি বিরল রোগ যার সম্পর্কে বহু মানুষ অবগত নন। এই অবস্থায় বীর্য পুরুষাঙ্গের বাইরে বের না হয়ে মূত্রাশয়ের ভেতরে চলে যায়। সাধারণত, বীর্যপাতের সময় স্ফিংক্টার পেশী মূত্রাশয়ের মুখ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে বীর্য পুরুষাঙ্গের মাধ্যমে বাইরে বের হয়। কিন্তু রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনের ক্ষেত্রে এই পেশী ঠিকমতো কাজ করে না, ফলে বীর্য মূত্রাশয়ের ভিতরে চলে যায়।
10
10
এই সমস্যার ফলে বীর্যপাতের পরিমাণ কমে যায় বা একেবারেই হয় না। তবে, এটি সাধারণভাবে ক্ষতিকর নয় এবং যৌন আনন্দ বা উত্তেজনাকে প্রভাবিত করে না। কিন্তু এর ফলে পুরুষরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারেন।