আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরের ভেতরে চুপচাপ ঘনিয়ে উঠছে বিপদ। তেমন কোনও যন্ত্রণা নেই, জ্বর নেই, অথচ সব কিছু ঠিকঠাক চলছে না। দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা, স্ট্রেস, অনিয়ম, আর ট্রান্সফ্যাট ভর্তি খাবারে ভরপুর ডায়েট, এই সবকিছুই নিঃশব্দে জন্ম দিচ্ছে ফ্যাটি লিভারের মতো মারণরোগের। কিন্তু এই অসুখে একটি মূল সমস্যা, প্রথম দিকে তেমন কোনও উপসর্গ চোখে পড়ে না। তাই বহু ক্ষেত্রেই রোগ ধরা পড়তে পড়তে অনেক দেরি হয়ে যায়।
2
9
ডানদিকে পেট ভার লাগা: খাবার হজম হচ্ছে না ঠিক মতো। ডান দিকের পেটের ওপরের অংশে যেন একটা চাপ চাপ ভাব। ঠিক ব্যথা নয়, কিন্তু একটা অস্বস্তি। অনেকেই একে গ্যাসের সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু এটি লিভারে চর্বি জমার প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।
3
9
সারাদিন ক্লান্ত, উদ্যমহীন লাগা: ঘুম থেকে দেরি করে উঠেও যেন ক্লান্ত লাগছে। মনে হচ্ছে শরীর চলছে না। কাজের আগ্রহ নেই, কিছুই ভাল লাগছে না। এমন অকারণ ক্লান্তি ফ্যাটি লিভারের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ।
4
9
হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া: খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক, ব্যায়ামেও ফাঁকি দিচ্ছেন না। তবু ওজন বেড়ে যাচ্ছে চোখের সামনে? সতর্ক হন। বিশেষ করে পেটের চারপাশে চর্বির স্তর বাড়লে তা ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পাড়ে? ফ্যাটি লিভার এবং স্থূলতা বা ওবেসিটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে।
5
9
চামড়া ও চোখে হালকা হলদে ভাব: শুধু জন্ডিস নয়, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলেও ত্বক বিবর্ণ লাগতে পারে। চোখের সাদা অংশে খুব হালকা হলদেটে আভা দেখা দিতে পারে। লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে বিলিরুবিন নামক রঞ্জক পদার্থ জমে। সেই কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
6
9
অরুচি: খাবারের গন্ধও যেন অসহনীয় লাগছে বা অল্প খেলেই পেট ভরে যাচ্ছে, এগুলিও ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক উপসর্গ। হজমে গোলমাল দেখা দিলে অরুচি চলে আসে সহজেই।
7
9
চুলকানি: শুধু ত্বকের রোগ নয়, লিভারের সমস্যাও ত্বকের চুলকানির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে রাতে যদি এই চুলকানি বাড়ে, এবং চর্মরোগের ওষুধে কাজ না হয়, তবে লিভারের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল।
8
9
পেট ফাঁপা, অস্বস্তিকর গ্যাস: বদহজম বাঙালির চিরকালের সমস্যা। তাই একে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। কিন্তু খাবার হজম না হওয়া, একটু পর পর ঢেকুর ওঠা বা পেট ফুলে থাকার মতো সাধারণ লক্ষণগুলির নেপথ্যেও লিভারের সমস্যা লুকিয়ে থাকতে পারে।
9
9
কী করবেন? একাধিক উপসর্গ যদি একসঙ্গে ধরা পড়ে, দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। রক্তপরীক্ষা ও আলট্রাসোনোগ্রাফি করালেই স্পষ্ট বোঝা যায় লিভারের অবস্থা। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা বদলের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।