মুম্বইয়ের ৭২ বছর বয়সী ব্যক্তি ট্রেড ফ্রড-এ খুইয়েছেন ৩৫ কোটি টাকা। ৪ বছর ধরে তিনি জানতেনই না, এই ঘটনা ঘটেছে।
2
7
মাতুঙ্গা পশ্চিমের বাসিন্দা ভরত হরকচাঁদ শাহ অভিযোগ করেছেন, গ্লোব ক্যাপিটাল মার্কেট লিমিটেড নামে একটি ব্রোকারেজ ফার্ম তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চার বছর ধরে অননুমোদিত লেনদেন করেছে।
3
7
১৯৮৪ সালে, বাবার মৃত্যুর পর পারেলে ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি কম ভাড়ার গেস্ট হাউস চালান শাহ এবং তাঁর স্ত্রী। উত্তরাধিকারসূত্রে একটি শেয়ার পোর্টফোলিও পেয়েছিলেন তাঁরা।
4
7
কিন্তু দম্পতি শেয়ার বাজারে কখনও সক্রিয়ভাবে লেনদেন করেননি। ২০২০ সালে এক বন্ধুর পরামর্শে, শাহ গ্লোব ক্যাপিটাল মার্কেটস লিমিটেডে নিজের এবং তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি ডিম্যাট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলেন এবং তাঁদের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত শেয়ার কোম্পানিতে স্থানান্তর করেন।
5
7
কোম্পানির প্রতিনিধিরা নিয়মিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় আশ্বাস দিতেন। তারা শাহকে বলেছিলেন যে ট্রেডিংয়ের জন্য কোনও অতিরিক্ত বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না এবং জামানত হিসাবে শেয়ার ব্যবহার করে নিরাপদে লেনদেন করা যেতে পারে।
6
7
কোম্পানির প্রতিনিধিরা শাহকে বলেন যে কোম্পানি তাঁকে "ব্যক্তিগত গাইড" হিসেবে নিয়োগ করবে। তাতে দুই কর্মী, অক্ষয় বারিয়া এবং করণ সিরোইয়াকে তার পোর্টফোলিও "পরিচালনার" দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তখনই তারা শাহ এবং তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
7
7
সেখান থেকেই শুরু হয় 'ফ্রড' প্রক্রিয়া। দাবি তেমনটাই। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে খন শাহ হঠাৎ করে গ্লোব ক্যাপিটালের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে একটি ফোন পান যেখানে বলা হয়, "আপনার এবং আপনার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৩৫ কোটি টাকা ডেবিট ব্যালেন্স আছে। আপনাকে তা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে, অন্যথা আপনার শেয়ার বিক্রি হয়ে যাবে', তখন তিনি বুঝতে পারেন জালিয়াতির বিষয়টি।