এতদিন সংঘাতের আবহ ছিল, খামেনেই যেন স্পষ্ট করে দিয়েছেন এ আর কেবল সংঘাত কিংবা সংঘর্ষের আবহ নয়, এবার সরাসরি যুদ্ধ। ইরানের শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ইজরায়েলের প্রতি তাঁদের মনোভাব ‘নো মার্সি।‘ এর মাঝেই ইরান দাবি করেছে ইজরায়েলের আকাশে রাজত্ব করেছে তাদের হাইপারসনিক মিসাইল ফাতেহ-১। এই প্রথম নয়, এর আগেও ইজরায়েলকে তছনছ করতে এই মিসাইলকেই বেছে নিয়েছে খামেনেইয়ের দেশ।
2
7
ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্প জানিয়েছে তারা অপারেশন হনেস্ট প্রমিস ৩-এর ১১তম ধাপে ফাতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। জেরুজালেমের বিরুদ্ধে তেহরান এর আগেও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ১ অক্টোবর, ২০২৪ সালে জেরুজালেমের বিরুদ্ধে তাদের অপারেশন ট্রু প্রমিজ II-এর সময় ইরান কয়েক ডজন ফাতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। তবে, এই দফার সংঘর্ষে এই প্রথম।
3
7
হাইপারসনিক মিসাইল কী? কত ক্ষমতাশালী এই অস্ত্র? হাইপারসনিক শব্দটি মূলত হাইপারসনিক গ্লাইড ভেইকেল এবং হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি অত্যন্ত উন্নত অস্ত্র এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভিতরে হাইপারসনিক গতিতে ধাবমান হয়, যার ফলে এই মিসাইলকে ট্র্যাক করা বা আটকানো কঠিন।
4
7
হাইপারসোনিক মিসাইলগুলি ম্যাক ৫ বেগে অর্থাৎ শব্দের গতির পাঁচ গুণ (প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৩,৮০০ মাইল, প্রতি ঘন্টায় ৬,১০০ কিলোমিটার) ধাবমান হয়।
5
7
ফাতেহ-১, ইরানের প্রথম হাইপারসনিক মিসাইল, যেটি জনসমক্ষে আসে ২০২৩ সালে। নামকরণ করেছেন খোদ খামেনেই।
6
7
তথ্য, ইজরায়েলের আয়রন ডোম এবং অ্যারোর মতো সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ছাপিয়ে যেতেই তৈরি হয়েছে ফাতেহ-১।
7
7
ইরান ওয়াচের প্রতিবেদন অনুসারে- এই মিসাইল ১২ মিটার লম্বা এবং এর পাল্লা ১,৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি একটি একক-পর্যায়ের প্রপালশন সিস্টেম ব্যবহার করে এবং ২০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বহন করতে পারে।