থালাপতি বিজয় অভিনীত আসন্ন ছবি ‘জননায়গন’এর প্রথম গান ‘থালাপথি কচেরি’-র অফিসিয়াল লিরিক ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই ব্যাপক আলোচনায়। ৮ নভেম্বর ইউটিউবে মুক্তির পর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভিডিওটি ৪৪ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। এত দ্রুত ভিউ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই সংখ্যা কি সত্যিই ভক্তদের নাকি স্বয়ংক্রিয় বটের কাজ?
এই বিতর্ক শুরু হয় যখন এক্স (পূর্বে টুইটার)-এর এক ব্যবহারকারী একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যায়—গানটি প্রকাশের এক ঘণ্টার মধ্যেই ৩০ লাখ ভিউ পেয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এই ভিউ বৃদ্ধিতে কি বটের ভূমিকা রয়েছে?’ এরপর আরও অনেক ব্যবহারকারী ইউটিউবের কাছে ভিউ সংখ্যার সত্যতা নিয়ে ব্যাখ্যা চান।
ইউটিউব তাদের অফিসিয়াল সাপোর্ট চ্যানেল থেকে এই জল্পনার জবাব দেয়। তারা জানায়, ‘আমাদের একটি সিস্টেম রয়েছে যা ভিডিওর এনগেজমেন্ট মেট্রিকস (লাইক, ভিউ, সাবস্ক্রিপশন) যাচাই করে দেখে—সেগুলো বৈধ উৎস থেকে এসেছে কি না। যদি আমরা সন্দেহ করি ভিউ সংখ্যা ব্যবহারকারীর নয়, বরং কোনও কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে এসেছে, তাহলে ভিউ কাউন্ট সাময়িকভাবে ধীর বা একদম ফ্রিজ হতে পারে।’
এই আলোচনার মধ্যেই এক ভক্ত দাবি করেন, ভিডিওটি সম্ভবত প্রথমে ইউটিউবের অ্যালগরিদমে রাজনৈতিক কনটেন্ট হিসাবে ফ্ল্যাগ হয়েছিল, কারণ এটি বিজয়ের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। তিনি লিখেছেন, ‘ইউটিউব প্রথমে #থালাপতিকচেরি–কে বিজয় এবং তাঁর দলের প্রচার ভিডিও হিসাবে চিহ্নিত করে। গুগল অ্যাডস নীতিমালা অনুযায়ী ভিউ কাউন্ট স্থির হয়ে যায়। পরে ভিডিওটি রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে পর্যালোচনা শেষ হওয়ার পর, প্রকৃত ভিউ সংখ্যা পুনরায় প্রদর্শিত হতে শুরু করে।”
এ বিষয়ে ইউটিউব আরও জানায়, ‘ইউটিউবে ন্যায্য এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমাদের সিস্টেম সবসময় যাচাই করে দেখে ভিউগুলো বৈধ কি না এবং গণনার উপযুক্ত কি না।’
তারা স্পষ্ট করে জানায়, হঠাৎ করে ভিউ সংখ্যা স্থির হয়ে যাওয়া বা পরিবর্তিত হওয়া স্বাভাবিক সুরক্ষার অংশ।
‘থালাপথি কচেরি’ গানটির সুরকার অনিরুদ্ধ রবিচন্দর, গীতিকার আরিভু। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন অনিরুদ্ধ, আরিভু এবং স্বয়ং বিজয়।
‘জননায়গন’ পরিচালনা করেছেন এইচ. বিনোথ। এটি বিজয়ের রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশের আগে তাঁর শেষ সিনেমা হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। পোঙ্গাল উৎসব উপলক্ষে ছবিটি মুক্তি পাবে। ছবিতে বিজয়ের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন পূজা হেগড়ে, মামিতা বৈজু, ববি দেওল, গৌতম বাসুদেব মেনন, প্রকাশ রাজ, প্রিয়মণি এবং নারায়ণ।
