প্যারালিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন মুরলিকান্ত পেটকরের ফিনিক্সের মতো জয়যাত্রাকে বড়পর্দায় তুলে এনেছিলেন পরিচালক কবীর খান। আর সেই যাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন কার্তিক আরিয়ান, যাঁর অভিনয় এখনও বলিউডে প্রশংসিত হচ্ছে, তাঁর কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স বলেই অনেকেই মনে করছেন।
‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর সাফল্যের পর ফের একবার বড় চমক বলিউডে। জোর খবর, পরিচালক কবীর খান এবং অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান আবারও হাত মেলাতে চলেছেন। শোনা যাচ্ছে, এবার তাঁরা একেবারে নতুন ধরণের একটি স্পোর্টস–অ্যাডভেঞ্চার ছবিতে কাজ করতে চলেছেন, যার পটভূমি কাশ্মীর। শুধু তাই নয়, এই ছবিকে ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রিতে সম্ভাব্য ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে দেখা শুরু হয়েছে।
সূত্রের মতে, ছবিটির বাজেট যথেষ্ট বড় এবং চিত্রনাট্যের চাহিদা অনুযায়ী শুটিং হবে বাস্তব লোকেশনে -ভারত ছাড়াও একাধিক দেশে। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ থেকে অক্টোবর ২০২৬ পর্যন্ত চলবে শ্যুটিং, আর টার্গেট করা হয়েছে ২০২৭ সালে বড় পরিসরে রিলিজ।
এই ছবির জন্য কার্তিক আরিয়ানকে যেতে হবে নানান প্রস্তুতিরমধ্যে দিয়ে। জানা গিয়েছে, চরিত্রের দাবি অনুযায়ী তাঁর চোখে পড়ার মতো ফিজিক্যাল ট্রান্সফর্মেশন প্রয়োজন। ‘নাগজিলা’ ছবির কাজ শেষ করেই তাই তিনি ঝাঁপ দেবেন এই ছবিতে। ফলে কার্তিকের সামনে আগামী বছরগুলো চ্যালেঞ্জিং হলেও একই সঙ্গে কেরিয়ারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।
এদিকে একাধিক চিত্রনাট্য পড়ার পাশাপাশি কার্তিক ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ‘ভুলভুলাইয়া ৪’ শুরু করার পরিকল্পনাও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি লভ রঞ্জনের একটি ছবির কথাবার্তাও রয়েছে। এছাড়া অনুরাগ বসুর একটি অসম্পূর্ণ ছবির বাকি শুটিংও ২০২৬ সালেই শেষ করার সম্ভাবনা। অর্থাৎ একের পর এক হেভিওয়েট প্রজেক্টে ভরপুর কার্তিকের ঝুলি।
কবীর-কার্তিকের এই ছবিটি প্রযোজনা করছে অ্যাপ্লস এন্টারটেইনমেন্ট যারা এর আগে কনটেন্ট ও স্কেলের ভারসাম্য রেখে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট উপহার দিয়েছে। ফলে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে এখন থেকেই উত্তেজনা কবীর খানের পরিচালনা, বড় বাজেট, কাশ্মীরের রোমাঞ্চকর পটভূমি আর নতুন অবতারে কার্তিক, সব মিলিয়ে এই স্পোর্টস–অ্যাডভেঞ্চার ছবিটি ২০২৭-এর পর্দায় তৈরি করতে পারে বড় বিস্ফোরণ, আশা ট্রেড অ্যানালিস্টদের।
অন্যদিকে, ২০১২ সালে কবীর খান পরিচালিত সলমন খান-ক্যাটরিনা কইফ অভিনীত সুপারহিট ছবি 'এক থা টাইগার' জায়গা করে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ইন্টারন্যাশনাল স্পাই মিউজিয়ামে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এই সম্মান অর্জন করে ছবিটি বলিউডের ইতিহাসে অনন্য হয়ে উঠল কারণ জেমস বন্ড থেকে মিশন ইমপসিবল, মেন ইন ব্ল্যাক-এর মতো আন্তর্জাতিক আইকনিক স্পাই মুভির ভিড়ে একমাত্র ভারতীয় সিনেমা হিসাবে স্থান পেল ‘এক থা টাইগার’।
