‘শুটআউট’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে হর্ষবর্ধন?
বলিউডের জনপ্রিয় ক্রাইম–ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘শুটআউট’ সিরিজ এবার মুম্বইয়ের গলি ছেড়ে পা রাখছে বিদেশে। একতা আর. কাপুর প্রযোজিত এই সিরিজের পরবর্তী ছবি ‘শুটআউট ইন দুবাই’ অর্থাৎ, প্রথমবারের মতো দেশ ছাড়িয়ে অন্য ভূখণ্ডে গ্যাংওয়ারের গল্প বলতে চলেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।২০০৭ সালে ‘শুটআউট অ্যাট লোখাণ্ডওয়ালা’ এবং ২০১৩-র ‘শুটআউট অ্যাট ওয়াডালা’ দুটো ছবিই মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ডের উত্থান ও রক্তমাখা ইতিহাসের দলিল হয়ে উঠেছিল। প্রথমটি ব্যস্ত শহরের রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের রুদ্ধশ্বাস বন্দুকযুদ্ধকে কেন্দ্র করে, দ্বিতীয়টি বলেছিল গ্যাংস্টার মনসুর আলি-র উত্থান এবং অপরাধ জগতের নিষ্ঠুর রাজনীতির কথা। সেই ধারাবাহিকতাকেই আরও বিস্তৃত করে এবার নির্মাতারা সোজা পৌঁছে যাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের ঝাঁ চকচকে কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ড–ছায়াঘেরা শহর দুবাইয়ে।

প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, তৃতীয় ছবিটি নাকি দিল্লিতে সেট করতে চান নির্মাতারা। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে দুবাই নিয়েই। কারণ স্পষ্ট, ‘শুটআউট’ নামের সঙ্গে যে তীব্রতা, রগরগে বাস্তবতা আর অ্যাড্রিনালিন-পাম্পিং থ্রিল জড়িয়ে, তা থেকে এক ইঞ্চিও পিছোতে রাজি নন একতা কাপুর ও সহ-স্রষ্টা সঞ্জয় গুপ্তা। ফ্র্যাঞ্চাইজির এই তৃতীয় ছবির মুখ হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে অভিনেতা হর্ষবর্ধন রাণে–র। এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও, সূত্র বলছে তিনিই আপাতত নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ। সব মিলিয়ে ছবির ঝাঁঝ আগের দুই পর্বের চেয়েও বেশি হওয়া স্বাভাবিক, এমনটাই অনুমান বলিউড মহলের।
প্রয়াত বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে–র মা
ভারতীয় চলচ্চিত্র জগত এক গুরুত্বপূর্ণ পথপ্রদর্শককে হারাল। শনিবার প্রয়াত হলেন প্রযোজক দীপা দে মোতওয়ানে, যিনি শুধুই জনপ্রিয় পরিচালক বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে–র মা নন, বরং স্বাধীন ভাবনার সিনেমায় এক শক্ত, নির্ভরযোগ্য, অথচ নীরব স্তম্ভ ছিলেন। গত দু'দশকে তিনি একাধিক স্মরণীয় ছবির জন্ম দিয়েছে, যা আজও ভারতীয় সিনেমার উন্নত রুচি ও মানের প্রমাণ।

দীপা দে মোতওয়ানের চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে সোমনাথ সেনের ‘লীলা’–র সহযোগী প্রযোজক হিসেবে। ওই একই বছরই তিনি যুক্ত হন বিষাল ভরদ্বাজের কাল্ট হরর–কমেডি ‘মকড়ি’–র সঙ্গে। লাইন প্রোডিউসার হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁকে দিয়েছে বাস্তববোধের সঙ্গে লড়াই, সময় মতো সিদ্ধান্ত, এবং পুরো ইউনিটকে মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তীক্ষ্ণ দক্ষতা যা পরবর্তীতে তাঁকে ইন্ডাস্ট্রির একজন সবচেয়ে দক্ষ ও ‘ভরসাযোগ্য’ প্রযোজক হিসেবে চিহ্নিত করে।
মায়ের সঙ্গে ছেলের পেশাদারিত্ব-সৃজনশীলমথিত পথচলা শুরু হয় ২০১০ সালে ‘উড়ান’ ছবির হাত ধরে। বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের এই স্মরণীয় ছবির সৃজনযাত্রায় দীপার যুক্ত থাকা শুধু পারিবারিক সমর্থন নয়, বরং ছিল এক পেশাদার সহযোগীর দৃঢ় হাত। ‘উড়ান’ শুধু জাতীয় পুরস্কারজয়ী ছবি নয়, হিন্দি সমান্তরাল ও স্বাধীন সিনেমার জন্যও এক নতুন পরিসর তৈরি করেছিল আর সেই সাফল্যের নেপথ্য দলেও দীপা ছিলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
নিউ ইয়র্কে ছুটিতে রণবীর-দীপিকা!
এইমুহূর্তে নিউইয়র্কে ছুটি কাটাচ্ছেন রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। কয়েক দিন আগেই মুম্বই বিমানবন্দরে দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা, উৎসবের মরসুমে একসঙ্গে কোথায় যাচ্ছেন তাঁরা? অবশেষে জানা গেল, ক্রিসমাসটা এই দম্পতি কাটিয়েছেন ‘দ্য সিটি অফ ড্রিমস’ নিউ ইয়র্কেই।

স্বাভাবিকভাবেই নিউ ইয়র্কের রাস্তায় ঘুরতে দেখা গেছে দু’জনকে। আর সেখানেই ভক্তদের সঙ্গে তাঁদের উষ্ণতা ও সরলতার অসাধারণ মুহূর্ত বন্দি হয়েছে ক্যামেরায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ছবি। এক ভক্ত ইনস্টাগ্রামে একাধিক ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “নিউ ইয়র্কে রণবীর সিংয়ের মতো এমন সুন্দর একজন মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া সত্যিই এক অমূল্য স্মৃতি।” ছবিগুলিতে দেখা গেছে, হাসিমুখে ভক্তদের সঙ্গে নিজস্বী তুলছেন রণবীর। অন্য এক ছবিতে সাদা পোশাকে দীপিকাকে ঘিরে রয়েছে অনুরাগীদের ভিড়। অভিনেত্রীও সমান উচ্ছ্বাসে সবার সঙ্গে ছবি তুলছেন। নি উইয়র্কের উৎসবমুখর আবহ, সাজানো রাস্তা, আলো–ঝলমলে পরিবেশের মধ্যেই তারকা দম্পতির এই সহজ-সরল মুহূর্ত আরও বেশি করে ছুঁয়ে গেছে নেটিজেনদের মন।
ছুটির মুডে থাকা এই তারকা জুটি আবারও প্রমাণ করলেন, গ্ল্যামার দুনিয়ার চকচকে আবরণ ছাপিয়ে তাঁরা এখনও ভক্তদের কাছে পৌঁছে যেতে জানেন হাসিমুখে, খোলা মনে।
