নিজস্ব সংবাদদাতা: দেব-শুভশ্রী জুটির শেষ ছবি। ‘ধূমকেতু’। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত মুক্তি না পাওয়া এই ছবির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ৯ বছর আগে। এ ছবি মুক্তি ঘিরে কিছু আইনি সমস্যা ছিল। প্রযোজক রাণা সরকার একাধিকবার জানিয়েছিলেন, দেব এবং তিনি দু’জনে মিলে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছেন। এ প্রসঙ্গে দেবের তরফেও মন্তব্যেও শোনা গিয়েছিল একই সুর। দেব নিজেই বলেছিলেন, “এই ছবি মুক্তি পেলে তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।” তবে গত ৯ বছরে এই ছবি ঘিরে একবিন্দু আগ্রহ কমেনি বাংলা ছবিপ্রেমীদের। বরং উত্তরোত্তর তা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অপেক্ষা। এবার শেষমেশ সে অপেক্ষার অবসান।  শুক্রবার সন্ধ্যায় দেব সমাজমাধ্যমে ফলাও করে ঘোষণা করেছেন ‘ধূমকেতু’র মুক্তির তারিখ! 

 

 

‘ধূমকেতু’র একটি ঝাঁ চকচকে নতুন পোস্টারের ছবি ভাগ করে নিয়ে দেব জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১৪ আগস্ট বড়পর্দায় ফিরছে ‘ধূমকেতু’! পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, ৭৮ বছরের এক বৃদ্ধের বেশে এক ফায়ার প্লেসের পাশে বসে রয়েছেন দেব। কাঁধ ছাপানো রুপোলি চুল, চোখে মোটা ফ্রেমের হয় পাওয়ারের চশমার সঙ্গে ঈষৎ পৃথুল চেহারায় দেবকে চেনা ভার!  ছবিতে দেব ৭৮ বছরের এক বৃদ্ধের বেশে অভিনয় করেছেন। নানা আইনি জটিলতায় ছবিটি এত বছর পরেও মুক্তির আলো দেখেনি। এই ছবি সম্পর্কে পরিচালক বলেছিলেন, “যেদিনই হোক রিলিজ, ছবিটা সমসাময়িক থেকেই যাবে। সেটা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি।”

 

 

‘ধূমকেতু’র মুক্তি পাওয়ার খবরে আর পাঁচজনের মতো উচ্ছ্বসিত সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। আজকাল ডট ইন-কে উদাত্ত গলায়, খানিক মজার সুরেই তিনি বললেন, “ইউনিকর্ন বা ড্রাগনের উপকথার মতোই ‘ধূমকেতু’ ছবির কথা শুনে আসছি ছোটবেলা থেকে! এতবার এই ছবি নিয়ে এত গল্প শুনেছি...প্রায় সিনেম্যাটিক লোককথায় পরিণত হয়েছে এই ‘ধূমকেতু’। বহু প্রতীক্ষিত ছবির মধ্যে অন্যতম এই ছবি। তার কয়েকটি কারণ রয়েছে। আমার প্রিয় পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছবি। তার উপর অনুপম রায়ের সুর। শুনেছি দেব দুর্দান্ত অভিনয় করেছে এই ছবিতে। তাকে পাল্লা দিয়েছে রুদ্রনীল-ও। এবং অবশ্যই দেব-শুভশ্রী জুটি! তাই এককথায় চাঁদের হাট। তাই রিলিজ করলেই ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো!”

 

সৃজিতের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছিল, ২০১৬-র পর কেটে গিয়েছে ৯ বছর। ব্যক্তিগত জীবনে দেব-শুভশ্রীর রসায়ন আমূল বদলানোর পাশাপাশি বেড়েছে তাঁদের বয়স। বড়পর্দায় কি একেবারেই সেসবের প্রভাব পর্বে না? অতি পরিচিত সৃজিতীয় ছন্দে তাঁর জবাব, “আমার কাছে অন্তত পড়বে না। কারণ এই ছবি সম্পর্কে এত কথা শুনেছি, যে রিলিজ হলে চাক্ষুষ সেসব দেখতে চাই।” 

 

 

তাহলে কি ‘ধূমকেতু’ সৃজিতের ‘ডাম্বলডোর’-এর অন্যতম সেরা পরিচালনা? শোনামাত্রই মুচকি হেসে ‘বাইশে শ্রবণ’ পরিচালকের ঝটিতি জবাব, “আমার ডাম্বলডোরের সেরা পরিচালিত ছবির মধ্যে ধূমকেতু পড়বে কি না, এখনই কী করে বলব। আমি তো এ ছবি দেখিনি, কারণ অন্য কোনও পরিচালকের ছবি আমি  পোস্ট প্রোডাকশন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকাকালীন অবস্থায় আমি দেখি না। আজ পর্যন্ত দেখিনি!  পুরো শেষ হবে, সাউন্ড হবে, সমস্ত রকম এফেক্টস বসবে, তারপর দেখব।”