সংবাদ সংস্থা মুম্বই: জিয়া খানের মৃত্যুর পরে তাঁর জীবন থমকে গিয়েছিল। এই একবাক্যে নিজের দীর্ঘ লড়াইয়ের মানসিক খতিয়ান দিলেন অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলি। সম্প্রতি, দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, কীভাবে এক দশকের আইনি লড়াই তাঁকে ভিতর থেকে কুরে কুরে খেয়েছে—আর তাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে তাঁর পরিবার ও কেরিয়ারে।
“একসময় এমন ছিল, আমরা পরিবারে একে অপরের চোখে চোখ রাখতেও পারতাম না। কথা বলা দূরে থাক—শুধুই যন্ত্রণা, হতাশা, চুপচাপ চাপা কান্না। এখন সেই জায়গা থেকে উঠে এসেছি আমরা। একে অপরকে দেখে খোলা গলায় হাসতে পারি। হয়তো ভাগ্য এটাই চেয়েছিল— আগে আমরা পরস্পরের এতটা ঘনিষ্ঠ ছিলাম না। এই ঝড়ই আমাদের পরিবারকে আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে” — বললেন সুরজ।
জিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ট্রোলিং আর কাজ না পাওয়া—সবকিছুই যেন তাঁকে কোণঠাসা করে একা করে দিয়েছিল। "আমি পজিটিভ থাকার চেষ্টা করতাম, কিন্তু সত্যি বলতে—এই ট্রোলিং, সংবাদমাধ্যমে প্রবল চিৎকার, সোশ্যাল মিডিয়ার বিষবাক্য, একের পর এক কাজ হারানো, সবার থেকে পিছিয়ে পড়ে যাওয়া—সবই কাঁটার মতো বিঁধেছে। আমাকে একা একাই শক্ত থাকতে হত...”
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বইয়ের বাড়িতে জিয়া খানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে পাওয়া যায় একটি ছয় পাতার সুইসাইড নোট, যেখানে সুরজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ লেখা ছিল। সেই সময় সুরজ ছিলেন জিয়ার প্রেমিক। এর ভিত্তিতে শুরু হয় দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া। শেষমেশ, ২০২৩ সালে আদালত সুরজকে বেকসুর খালাস দেয়। কথাশেষে সুরজের সংযোজন, “হ্যাঁ, আমার সম্পর্কে মানুষ ভুল বুঝেছে। কিন্তু আমার পরিবার যদি আমার পাশে না থাকত, আমি হয়তো এতটা পথই চলতে পারতাম না। ”
এখন ধীরে ধীরে বলিপাড়ায় ফিরছেন আদিত্য-পুত্র। সম্প্রতি তিনি অভিনয় করেছেন ঐতিহাসিক অ্যাকশন ছবি ‘কেশরী বীর’-এ, যেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুনীল শেঠি, বিবেক ওবেরয়, অরুণা ইরানি প্রমুখ।
