এবছর দুর্গাৎসবে ঘোষিত হল ভারতের দ্রুত বিকাশমান স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও বিতরণ সংস্থা মজোটেল এন্টারটেনমেন্টস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের নতুন সংযোজন স্টারফেলিক্স ওটিটি অ্যাপ। যা আগামিদিনে ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দর্শককে বৈচিত্র্যময় গল্প উপহার দেবে।
এক অনবদ্য যাত্রার সূচনা করেছে মজোটেল মোজোটেল এন্টারটেনমেন্টস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন। যেখানে জাতীয় ও আঞ্চলিক গল্প একত্রিত হয়ে ভারতের বহুস্তরীয় সাংস্কৃতিক প্রকাশকে এক সুদৃঢ় সেতুবন্ধনে যুক্ত করা হবে। মজোটেলের মজবুত আঞ্চলিক ও স্বাধীন সিনেমার ভিত্তি এবং স্টারফেলিক্সের নতুন, উচ্চমানের ডিজিটাল কনটেন্ট উপস্থাপনার প্রতিশ্রুতি-এই দুইয়ের মেলবন্ধন দর্শককে গল্প দেখার অভিজ্ঞতাকে এক নতুন মাত্রা দিতে চলেছে।
মোজোটেল এন্টারটেনমেন্টস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কেবল বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যই তুলে ধরে না, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সীমানা ভেঙে ফেলার ক্ষমতাও রাখে। এবিষয়ে প্রযোজনা সংস্থার সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা এহেসাস কাঞ্জিলাল বলেন, "সিনেমা এমন এক ভাষা যা সীমান্ত ছাড়িয়ে মানুষকে যুক্ত করে, আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সেই গল্পগুলোকে আরও দূর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে।”
তাঁর আরও সংযোজন, “স্টারফেলিক্সের সঙ্গে এই সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা ভারতের বহুরূপী স্বাদ অর্থাৎ আঞ্চলিক কণ্ঠ, জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও সাংস্কৃতিক গল্পকে একই ছাতার নিচে আনতে চাই।” এই ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রযোজক সুমনা কাঞ্জিলাল বলেন, “মোজোটেলে আমাদের লক্ষ্য সবসময় এমন কনটেন্টকে সামনে আনা যা হৃদয় থেকে কথা বলে, তা আঞ্চলিক হোক বা জাতীয় কিংবা বৈশ্বিক। স্টারফেলিক্সের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমরা ভারতের সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারব এবং সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে অর্থবহ সিনেমা পৌঁছে দিতে পারব।”
এই প্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করে স্টারফেলিক্স ওটিটি-র তথা মহারাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত প্রযোজক হারিস খান বলেন,“আমরা বিশ্বাস করি ভারতের আসল শক্তি তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে। মোজোটেলের সঙ্গে হাত মেলানোর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করছি যে বাংলা, উত্তর-পূর্ব ভারতের হৃদভূমি ও অন্যান্য অঞ্চলের গল্পগুলোও মূলধারার কনটেন্টের সঙ্গে সমান মর্যাদায় দর্শকের কাছে পৌঁছবে। এই যাত্রা হল ভারতের 'বৈচিত্যের মাঝে একতা’-কে উদযাপন করা যেখানে প্রতিভা ও গল্প এক মঞ্চে মিলবে।”
নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে দর্শকরা নানা ধারার কনটেন্ট যেমন ড্রামা, রোমান্স, থ্রিলার, পরীক্ষামূলক সিনেমা, তথ্যচিত্র এবং ওয়েব সিরিজ সহ আরও অনেক কিছু উপভোগ করতে পারবেন। এতে যেমন মজোটেলের কনটেন্ট-ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের উপর জোর দেওয়া হবে, তেমনই আঞ্চলিক প্রতিভা ও গল্পগুলোকেও মূলধারার সঙ্গে সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মজোটেল ও স্টারফেলিক্স এক নতুন ডিজিটাল কনটেন্ট যুগের সূচনা করছে। যেখানে সৃষ্টিশীল সহযোগিতা শুধু বিনোদন নয়, একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময়েরও মাধ্যম হয়ে উঠবে। আসন্ন প্রকল্পগুলির তালিকা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। দর্শকরা খুব তাড়াতাড়ি উপভোগ করবেন সাহসী গল্প, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ভারতের প্রকৃত রঙে রঞ্জিত এক বৈচিত্র্যময় বিনোদনের মেলবন্ধন। ইতিমধ্যেই বিরাট এই কর্মকাণ্ডের সূচনা হয়েছে মুম্বইয়ের ভীরাদেশাই রোডে।
