চলতি বছর নানা ঝড়-জল বয়ে গিয়েছে বলি অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর দিয়ে। ১৬ আগস্ট ৫৫ বছরে পা দিলেন নবাব-পুত্র। এদিন সকাল থেকেই অনুরাগীদের শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন অভিনেতা। স্ত্রী করিনার থেকেও পেলেন এক আদুরে শুভেচ্ছাবার্তা। 

 

সমাজমাধ্যমে একটি সিংহের ছবি ভাগ করেছেন করিনা কাপুর খান। সইফকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, 'তুমি আমাদের কাছে সিংহের মতো। শুভ জন্মদিন আমার ডার্লিং হাজবেন্ড।'

হামলার ঘটনার পরেও যে নিজের মনোবলকে আঁকড়ে ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছিলেন সইফ, তা যেন একজন সিংহের তেজের মতোই। যে কোনও পরিস্থিতিতে হার না মেনে, পরিবার এবং নিজেকে রক্ষা করাই যাঁর ধর্ম। করিনার এই পোস্ট যে স্বামী সইফের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়।

 

আরও পড়ুন: ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মালাইকা অরোরা? অর্জুন কাপুরকে ভুলে এবার কাকে মন দিয়েছেন অভিনেত্রী?

 

সইফের উপর হামলার ঘটনার পর মাস সাতেক কেটে গেলেও তাঁকে নিয়ে চিন্তা কমেনি পরিবারের। এখনও দাদাকে নিয়ে চিন্তা কাটেনি বোন সাবার। তাই রাখিবন্ধন উৎসবের দিন দাদার উদ্দেশে লেখেন, “এত বছরের জীবনে আমরা আলাদাই থেকেছি। আমরা আমাদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম ঠিকই, তবে আমি সারাজীবন তোমার ঢাল হয়েছিলাম। আশা করছি, তুমিও তাই থাকবে। আমার প্রতিটা প্রার্থনা তোমার জন্য। তোমার মঙ্গলকামনায়। আজকাল তোমার সুরক্ষার জন্য চিন্তা হয়। এই পৃথিবী খামখেয়ালি লোকে ভরে গিয়েছে। তাই আরও চিন্তা।’’

 

আরও পড়ুন: আমির এবং পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ফয়জল! সুপারস্টারের নামে একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ

 

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, শুধু সইফের উপর হামলা নয়, করিনাকেও মারার চেষ্টা করা হয়েছিল! অভিনেতা রণিত রায় এই বিষয়েই চাঞ্চল্যকর এক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সইফের উপর হামলার পর, করিনা কাপুরের গাড়িতেও হামলা করা হয়েছিল। 

 


রণিত একজন অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি একটি নিরাপত্তা সংস্থাও চালান। যখন সইফের উপর আক্রমণ করা হয় এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁর কোম্পানি সইফকে নিরাপত্তা দিয়েছিল। 

 

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, "হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সইফ যখন বাড়ি ফিরছিল, তখন চারদিকে থিকথিক করছিল ভিড়। বাড়ি ফেরার সময়ে, করিনার গাড়িতেও আক্রমণ করা হয়েছিল। তখন ও খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আমি ওকে নিতে গিয়েছিলাম, এবং বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তৈরি ছিল, এবং পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকেও সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল। যদিও কে বা কারা করিনার গাড়ির উপর চড়াও হয়েছিল, তা জানা যায়নি।"