গোবিন্দাকে ঠারেঠোরে মিথ্যাবাদী এবং পাগল বললেন পরিচালক তথা প্রাক্তন সেন্সর বোর্ড প্রধান পহেলাজ নিহালানি! খুলেই বলা যাক গোটা ব্যাপারটা। ২০১৯ সালে হইচই পড়ে গিয়েছিল যখন এক সাক্ষাৎকারে বলি-অভিনেতা গোবিন্দা জানিয়েছিলেন 'অবতার' ছবির মুখ্য ভূমিকায় তাঁকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জেমস ক্যামেরন। 

শুধু তাই নয়, গোবিন্দা আরও দাবি করেছিলেন 'টাইটানিক' ছবি খ্যাত ওই পরিচালকের প্রস্তাব তিনি ফিরিয়েছিলেন কারণ তাঁর পক্ষে শরীর জুড়ে নীল রং মাখা অসম্ভব এবং হলিউডেও বছরখানেক টানা থাকতেও তিনি অপরগ। 'হিরো নম্বর ১'-এর কথা শুনে নাকি ভারী গোঁসা হয়েছিল 'অবতার'এর নির্দেশকের। অন্তত এমনটাই জানিয়েছিলেন বলি-অভিনেতা। প্রসঙ্গ শেষ করেছিলেন গোবিন্দা এই বলে যে তিনি ক্যামেরনকে বহু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন 'অবতার' তৈরি হতে পাক্কা ৭ বছর লাগবে। শুনে নাকি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ক্যামেরন। কারণও জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে গোবিন্দা জানান, ক্যামেরন যেভাবে এই ছবিটি তৈরি করবে বলে ভেবেছেন তা এককথায় প্রায় অসম্ভব। সুতরাং, এই ধরনের ছবি তৈরি করতে এই সময় তো লাগবেই। 

অবতার ছবি নিয়ে গোবিন্দার এই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন পহেলাজ। সদ্য দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পহেলাজ বলেন, "গোবিন্দাকে নিয়ে 'অবতার' নামের একটি ছবি পরিচালনা করেছিলাম। সে ছবি অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে আজও। তার একমাত্র কারণ গোবিন্দাই। ছবির কাজ চলাকালীন হঠাৎ করে শুটিংয়ে আসা বন্ধ করে দিল। কোন ধরনের বাদাম খেয়ে ওঁর এরকম বুদ্ধি এসেছিল মাথায় তা আজও রহস্য আমার কাছে!" 

এখানেই শেষ না করে সেন্সর বর্ডার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আরও বলেন, "জানি না ওঁর (গোবিন্দা) কী হল তারপর হঠাৎ করেই সবাইকে বলা শুরু করল ওঁকে নাকি হলিউড ছবি 'অবতার'এর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওঁর (গোবিন্দা) মস্তিষ্কের ডিস্কটা খারাপ হয়ে গেল! জেমস ক্যামেরনের 'অবতার' নিয়ে অবাস্তব দাবি শুরু করল। জানি না কোন চিন্তা থেকে গোবিন্দার এসব মনে হয়েছিল যে এরকম দাবি করা শুরু করল। কী করে যে ওঁর অভিনয় করতে থাকা হিন্দি অবতার ছবি ইংরেজিতে বদলে গেল তা ওইই জানে "।  

প্রসঙ্গত, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫সালে সেন্সর বোর্ড কর্তা হিসেবে নতুন জার্নি শুরু করেছিলেন নিহালনি। এই গোটা যাত্রাতে বিতর্ক ছিল তাঁর সঙ্গী। ছবি মুক্তি নিয়ে একাধিকবিতর্কে জড়িয়েছিলেন সেন্সর বোর্ডের তৎকালীন প্রধান। কখনও ‘উড়তা পঞ্জাব’, কখনও ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’— একের পর এক ছবি নিহালনির কোপে পড়েছিল। তা নিয়ে যথেষ্ট বিরক্ত ছিল ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ।