সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বরাবরই নিজস্ব ছন্দে চলেন পরিচালক রোহিত শেঠি। সে ছবি তৈরির ক্ষেত্রেই হোক অথবা সময়ে সময়ে নিজের মতামত পেশ করার ব্যাপারে। সদ্য যেমন এক সাক্ষাৎকারে সোজাসাপ্টা, নির্মেদ, কাটা কাটা ভাষায় বলিউডের নয়া প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুলোধনা করলেন তিনি। সোজাসুজি বলেই দিলেন, "ওঁরা সবাই সাংঘাতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন!"

 

শাহরুখ খান, অজয় দেবগণ, অক্ষয় কুমারের মতো বলিপাড়ার তাবড় তাবড় তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন রোহিত শেঠি। নয়া প্রজন্মেরও একাধিক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে তাঁর বিভিন্ন ছবিতে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, রোহিত জানান, তারকা হিসাবে এতটুকুও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না অজয় দেবগণ। বরং ছবিতে তাঁর পাশাপাশি অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও পর্দায় যেন অভগনয়ের সুযোগ পান, সে বিষয়টা উদার মনেই সামলান তিনি। এরপরেই বলিপাড়ার নয়া প্রজন্মের তারকাদের একহাত নেন রোহিত - " ওরা সাংঘাতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। সারাক্ষণ ডুবে থাকে সমাজমাধ্যমের দুনিয়ায়। আর সমাজমাধ্যমের সঙ্গে আসল দুনিয়ার কোনও তুলনাই হয় না। সমাজমাধ্যমে এই তারকাদের ৯০% ফলোয়ার্স, অনুরাগীরা আসলে মেকি! অর্থের বিনিময়ে ফলোয়ার্স বাড়ানো হয়। এমনকি সেখানে তাঁদের বেশিরভাগ তারিফ করা লেখাগুলোও আদতে লেখানো হয়। সেই অর্থের বিনিময়েই। এসব ছেড়ে বাইরের জগতে এবার পা রাখা উচিত এই তারকাদের। কারণ বছর দুয়েক পর অর্থের বিনিময়ে সমাজমাধ্যমে নিজের স্তুতি করালেও আর কোনও কাজের কাজ হবে না। আসল কেরামতিটা দেখাতে হবে বড়পর্দায়, মুঠোফোনের পর্দায় নয়! একমাত্র ছবিতেই নিজেকে প্রমাণ করার জায়গা তারকাদের। "

 

নয়া প্রজন্মের বলিউডের তারকাদের শুধুমাত্র চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেই থামেননি রোহিত। এরপর তাঁদের উদ্দেশ্য একটি 'বড়' পরামর্শও দিয়েছেন - " ওদের বলব, কোনও কাজকে বড় কিংবা ছোট, এভাবে দেখা বন্ধ কর। কাজ মানে কাজ। নিজের মনের কথা শোনো। কাজের বিষয়ে পাঁচজনের সঙ্গে আলোচনা না করে কাজটা কর।"

 

"যখন সলমন খানের কেরিয়ার ঠিকমতো চলছিল না, তখন কিন্তু ও সানি দেওল অভিনীত 'জিৎ' ছবিতে দ্বিতীয় নায়কের কাজ করেছিল। ছবি জনপ্রিয় হয় আর‌স সেইসঙ্গে সলমনের কেরিয়ারও। এই গুণটাই আজকের তারকাদের মধ্যে নেই! সবাই ঝুঁকি নিতে ভয় পায়। যখন কেরিয়ারে এই উকিল আমার ভয়টা নয়া প্রজন্মের তারকাদের মধ্যে থেকে চলে যাবে, তোরতর করে এগনো শুরু করবে তাদের কেরিয়ারও।"