বলিউডে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন কিংবদন্তি, তেমনই বন্ধুত্বও অন্যতম স্মরণীয়! শাহরুখ খান এবং সলমন খান। ভারতীয় সিনেমার এই দুই তারকাকে ঘিরে আলোচনার শেষ নেই। কিন্তু পর্দার ঝলমলে আলো সরিয়ে রাখলে, ব্যক্তিত্বে কতটা আলাদা তাঁরা? সেই উত্তরই দিলেন অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সি, যিনি দুই তারকার সঙ্গেই কাজ করেছেন ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিউ কিয়া’ এবং ‘কুছ মিঠা হো যায়ে’-এর মতো ছবিতে।

 

সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরশাদ অকপটে জানিয়েছেন, শাহরুখের সঙ্গে কাজ মানেই এক বিরল অভিজ্ঞতা। তাঁর ভাষায়, “শাহরুখ নিজের কাজের বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ, থিয়েটারের প্রশিক্ষণ তাঁর মধ্যে এখনও জীবন্ত। প্রতিটি সংলাপ, দৃশ্য সবটুকুই মাথার মধ্যে গুছিয়ে রাখেন। এবং যারপরনাই অত্যন্ত ভদ্র, সম্মান দিতে জানেন। কখনও তাঁকে রাগ করতে দেখিনি। আমি তাঁর ভীষণ ভক্ত। আমি ‘কিং’-এর জন্য তাই এক সেকেন্ডেই হ্যাঁ বলেছি।” শুধু তাই নয়, শাহরুখের সন্তান আরিয়ান ও সুহানার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওরা দারুণভাবে বড় হয়েছে। খুব ভাল ছেলে-মেয়ে।” আরশাদের মতে, শাহরুখ একেবারে ঠিকই বলেছেন, তিনি সত্যিই ‘লাস্ট অফ দ্য সুপারস্টারস’।

 

 


শাহরুখের তুলনায় সলমন খান যে সম্পূর্ণ আলাদা মেজাজের মানুষ, এ কথাও স্পষ্ট করে জানান আরশাদ। “সলমন সেই ক্লাসিক গুড-লুকিং ব্যাড বয়। আপনারা হয়তো প্রকাশ্যে যেরকম গাম্ভীর্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বটা দেখেন, সেই মানুষটাই ব্যক্তিগত জীবনে কিন্তু সে একদম অন্য মানুষ। আড্ডার পরিসরে প্রাণখোলা হাসেন, মজাদার সব জোকস বলেন। আর তাঁর পরিবারও ভীষণ হাসিখুশি। দারুণ হৈ-হুল্লোড় করেন তাঁরা। পাবলিক ইমেজের বাইরে ঘরে তিনি অনেক নরম মনের মানুষ এবং মজাদার,” বলেন তিনি।

 

অর্থাৎ,আরশাদের পর্যবেক্ষণে একজন সুশৃঙ্খল, মার্জিত ‘জেন্টলম্যান’ শাহরুখ, আর অন্যজন স্বতঃস্ফূর্ত, দুষ্টু-মেজাজের ‘ব্যাড বয়’ সলমান—দু’জনের ব্যক্তিত্ব দুই মেরু, কিন্তু দু’জনই সমানভাবে প্রভাবশালী।

 

 

 

প্রসঙ্গত, আরশাদকে শিগগিরই দেখা যাবে শাহরুখ খানের অ্যাকশন–ড্রামা ‘কিং’-এ। সিদ্ধার্থ আনন্দের পরিচালনায় তৈরি হচ্ছে এ ছবি, থাকছেন সুহানা খান, দীপিকা পাড়ুকোন, অভিষেক বচ্চন ও জয়দীপ আহলাওয়াত। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে এই ছবি। এছাড়াও আরশাদের ঝুলিতে রয়েছে ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’, যে ছবিতে রয়েছেন অক্ষয় কুমার, সঞ্জয় দত্ত, সুনীল শেট্টি ও পরেশ রাওয়াল।

 

সলমন খানও প্রস্তুত তাঁর বড় প্রজেক্ট ‘ব্যাটেল অফ গলওয়ান’ নিয়ে, লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চীনের সঙ্গে ভারতীয় জওয়ানের বহুল আলোচিত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ছবি ২০২৬ সালেই মুক্তি পাবে।