আজকাল ওয়েবডেস্ক: নারীরা বোধহয় কোনও জায়গাতেই সুরক্ষিত নন। এমনকী প্রকাশ্য রাস্তায় গণপরিবহণের ভিতরেও হেনস্থা থেকে মুক্তি নেই তাঁদের। সেই কথাই যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন সোহা আলী খান। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে জানালেন শর্মিলা-কন্যা। পাশাপাশি, মনে করিয়ে দিলেন, যাঁদের প্রতিদিন গণপরিবহণে যাতায়াত করতে হয় না তাঁরা কতটা সৌভাগ্যশালী।

ঠিক কী হয়েছিল সোহার সঙ্গে? সাক্ষাৎকারে সোহাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কখনও প্রকাশ্যে ‘ফ্ল্যাশিং’-এর শিকার হয়েছেন কি না। প্রকাশ্যে নিজের যৌনাঙ্গ দেখিয়ে কাউকে উত্যক্ত করাকে চলতি ভাষায় ফ্ল্যাশিং বলা হয়। উত্তরে সোহা জানান হ্যাঁ। তিনিও এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। সোহা বলেন, “হ্যাঁ, ইতালিতে আমি এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। সম্ভবত এই ধরনের ঘটনা এখন প্রায়শই ঘটে। কিন্তু তাই বলে প্রকাশ্য দিবালোকে! যাঁরা এসব করেন তাঁদের উদ্দেশ্য কী? আমি সত্যিই জানি না। সত্যিই বুঝি না। আর আমি বুঝতেও চাই না।”
আরও পড়ুন: বাবা ভাঙ্গা আর নস্ত্রাদামুস দু’জনেই সাবধান করেছিলেন! ২০২৫-এর ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী শুনে কাঁপছে গোটা বিশ্ব

শুধু এখানেই থেমে থাকেননি সোহা। বলিউডের আরও এক বিতর্কিত বিষয় ‘কাস্টিং কাউচ’ অর্থাৎ যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়েও মুখ খোলেন অভিনেত্রী। তবে এক্ষেত্রে তিনি জানান, নিজেকে তিনি ভাগ্যবতী মনে করেন কারণ এমন কোনও ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটেনি। তাঁর কথায়, “সম্ভবত আমি ভাগ্যবতী কারণ আমি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত একটি পরিবারের সন্তান। সেজন্যই হয়তো আমাকে কখনও এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়নি। সবার হয়তো মনে হয়েছে, সইফ আছে, শর্মিলা ঠাকুর আছে। সেকারনেই হয়তো আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি সেজন্য সব সময় ভগবানকে ধন্যবাদ দিই।”

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন অভিনয়ের বাইরে থাকার পর সম্প্রতি ‘ছোড়ি ২’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সোহা আলী খানকে। নুসরত বারুচা এবং জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে শেষবার ‘সাহেব বিবি ঔর গ্যাংস্টার ৩’ ছবিতে বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অর্থাৎ প্রায় ৭ বছর পর ভৌতিক থ্রিলারের হাত ধরে বড়পর্দায় ফিরলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৩ মিনিটে ভাঙা হাড় জুড়ে যাবে! যুগান্তকারী ‘আঠা’ আবিষ্কার চীনের বিজ্ঞানীদের, বদলে যাবে চিকিৎসাশাস্ত্রের রূপরেখা?

অভিনয়ের থেকেও নিজের পরিবার এবং কন্যাকে সময় দিতেই বেশি পছন্দ করেন সোহা। একাধিকবার সেকথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অভিনেতা-পরিচালক কুণাল খেমুর সঙ্গে বিবাহের ১০ বছর পূর্ণ হয় তাঁর। সেই উপলক্ষ্যে পার্টিরও আয়োজনও করেন দু’জনে। বরাবরই স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহা। দু’জনকেই মাঝেমধ্যে দেখা যায় কন্যা ইনায়াকে নিয়ে নানান মজাদার পোস্ট শেয়ার করতে। সোহা নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, “আমি সত্যিই একটু অলস। কাজ নিয়ে তো বটেই সম্পর্কের দিক থেকেও। আমি জানি এটা ভাল নয়। নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন থাকা ভাল। সেকারনেই আমি একজন একটু চেষ্টা করছি সব দিক সামলে চলার।”