৩ মিনিটে ভাঙা হাড় জুড়ে যাবে! যুগান্তকারী ‘আঠা’ আবিষ্কার চীনের বিজ্ঞানীদের, বদলে যাবে চিকিৎসাশাস্ত্রের রূপরেখা?

img

আজকাল ওয়েবডেস্ক: যে কোনও ধরনের বড় দুর্ঘটনায় অধিকাংশ সময় দেহের যে অংশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটি হল হাড়। ট্রমা সার্জনরা কখনও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, কখনও ধাতুর পাত বসিয়ে সেই হাড় জোড়া লাগান। কিন্তু এবার বদলে যেতে পারে সেই ছবিটা।

img

১। নেপথ্যে চীনের এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। চীনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তাঁরা এমন এক আঠা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে ভাঙা হাড় জুড়ে দিতে পারে।

img

২। চীনের স্যার রানারান শও হাসপাতালে চিকিৎসক লিন জিয়ানফেং-এর নেতৃত্বে এক গবেষকদল এই আঠা আবিষ্কার করেছে। আঠাটির নাম ‘বোন-০২’।

img

৩। সমুদ্রে বসবাসকারী অয়েস্টার ঝিনুক উত্তাল ঢেউ-এর মধ্যেও বেঁচে থাকে। এমনকী পাথরের উপর ঢেউ-এর ধাক্কাতেও খুলে যায় না। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই বিষয়টি লক্ষ্য করেই নতুন এই আঠার ধারণাটি মাথায় আসে তাঁদের।

img

৪। প্রাকৃতিক এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করেই তৈরি করা হয়েছে ‘বোন-০২’। এই আঠা রক্তের মধ্যেও চটজলদি হাড়ের গায়ে লেগে যায়। ফলে অস্ত্রোপচারের সময়েও এই আঠা ব্যবহার করা সম্ভব।

img

৫। বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, বর্তমানে হাড় জোড়া লাগাতে যে ধরনের উপাদান ব্যবহৃত হয় তার সবই কৃত্রিমভাবে তৈরি। কিন্তু যেহেতু এই আঠাটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি, তাই ছয় মাসের ভিতর নিজেই ধীরে ধীরে এটি শরীরে মিশে যায়। ফলে দ্বিতীয়বার আর অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে না।

img

৬। মানুষের দেহে এই আঠার প্রয়োগেও আশাতীত ভাল ফল মিলেছে। ১৫০ রোগীর দেহে এই আঠা প্রয়োগ করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে আঠাটি ৪০০ পাউন্ড বা প্রায় ১৮১ কেজি ওজন ধরে রাখতে সক্ষম। পাশাপাশি, ধাতব পাতের মতো সরে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়ার সমস্যাও এতে নেই।

img

৭। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রাথমিক পরীক্ষার ফল অনুযায়ী এই আঠা ব্যবহার করার পর ক্ষতস্থানে সংক্রমণ বহুলাংশে কমে গিয়েছে। কমেছে ইপোক্সি বা অ্যাক্রাইলেট-এর মতো টিস্যু রিজেকশনের ঝুঁকি। অর্থাৎ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রায় নেই বললেই চলে।

img

৮। এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের রূপরেখা বদলে দিতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।