সংবাদসংস্থা মুম্বই: বক্স অফিসে রমরমিয়ে চলছে 'কল্কি ২৮৯৮ এডি'। নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই ছবিতে 'অশ্বত্থামা'র চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচক, দুই মহলেই ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। তবে সম্প্রতি অমিতাভের আরও একটি কাণ্ড জানতে পেরে চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের।
বিষয়টি ঠিক কী? সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে 'কল্কি ২৮৯৮ এডি'র পরিচালক নাগ অশ্বিন জানান, ছবির শুটিং চলাকালীন শৌচাগারে যাওয়ার আগে তাঁর থেকে অনুমতি নিতেন অমিতাভ বচ্চন! তাঁর কথায়, "প্রথমবার অমিতাভ স্যারের মুখে এই কথা শুনে হাঁ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। কোনওরকমে ওঁকে জানিয়েছিলাম, আপনার কোথাও যেতে হলে আমার থেকে কখনওই কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই"। সামান্য থেমে নাগ আরও বলেছিলেন, "এই হচ্ছে অমিতাভ বচ্চন। এত বড় তারকা অথচ কী নম্র, কী ভদ্র। বিরাট মাপের মানুষেরা মনে হয় এরকমই হয়..."
এবার এই ঘটনা নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন খোদ অমিতাভ। জানালেন, পরিচালক ছবির শুটিং সেটের 'ক্যাপ্টেন' আর তিনি সমাজমাধ্যমে আর তিনি একজন 'চাকর' মাত্র যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে কাজে। তাই শৌচাগারে যাওয়ার আগেও পরিচালকের অনুমতি নেওয়াটা বাঞ্ছনীয় বলে তিনি মনে করেন।
সমাজমাধ্যমে অমিতাভ লিখেছেন," আমি আলাদা করে কোনও নম্রতার পরিচয় দিইনি...বরং এটা ভীষণ স্বাভাবিক একটি বিষয়। খোদ পরিচালকও দেখছি এই ঘটনা নিয়ে অবাক। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, শুটিংয়ের সেটটি পরিচালকের...সময় মেপে সব ছকে রেখেছেন তিনি, ক্যাপ্টেনও তিনি। অন্যদিকে আমি একজন চাকর মাত্র যাঁকে এই কাজের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। তাই শৌচাগারে যাওয়ার আগেও পরিচালকের অনুমতি নেওয়া উচিত"।
এখানেই না থেমে এই বিষয়ে আরও বিশদে লেখেন 'শাহেনশাহ'। " হয়তো পরিচালক কোনও শট এমনভাবে ভেবে রেখেছেন যেখানে আমাকে হয়তো শেষমুহূর্তে ওঁর প্রয়োজন অথবা শুট করার আগে সহকর্মীদের সঙ্গে আমার একটি মহড়া দেখা ওঁর ভীষণ প্রয়োজন। আবার এও হতে পারে আমার দৃশ্যায়নের আগে লাইট সেটিং হচ্ছে, সেখানে আমার উপস্থিত থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। এরকম অনেককিছুই হতে পারে...তাই সেট ছেড়ে যাওয়ার আগে পরিচালককে জানিয়ে যাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আর সত্যি কথা বলতে কী, পরিচালকই আমাকে এই ছবিতে পাশ দিয়েছেন, শুটিংয়ে আমার শর্ট রেডি হওয়ার পর আমাকে ডেকে নিয়ে যান উনি... তাই সেট ছেড়ে বেরোনোর আগে ওঁর অনুমতি নেওয়া তো অবশ্যই জরুরি!"
'বিগ বি'র এই লেখা মুহূর্তেই হয়েছে ভাইরাল। এরপর বর্ষীয়ান তারকার প্রতি বিস্ময়, মুগ্ধতা প্রকাশ করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য বোধ করেননি নেট ব্যবহারকারীরা।
বিষয়টি ঠিক কী? সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে 'কল্কি ২৮৯৮ এডি'র পরিচালক নাগ অশ্বিন জানান, ছবির শুটিং চলাকালীন শৌচাগারে যাওয়ার আগে তাঁর থেকে অনুমতি নিতেন অমিতাভ বচ্চন! তাঁর কথায়, "প্রথমবার অমিতাভ স্যারের মুখে এই কথা শুনে হাঁ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। কোনওরকমে ওঁকে জানিয়েছিলাম, আপনার কোথাও যেতে হলে আমার থেকে কখনওই কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই"। সামান্য থেমে নাগ আরও বলেছিলেন, "এই হচ্ছে অমিতাভ বচ্চন। এত বড় তারকা অথচ কী নম্র, কী ভদ্র। বিরাট মাপের মানুষেরা মনে হয় এরকমই হয়..."
এবার এই ঘটনা নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন খোদ অমিতাভ। জানালেন, পরিচালক ছবির শুটিং সেটের 'ক্যাপ্টেন' আর তিনি সমাজমাধ্যমে আর তিনি একজন 'চাকর' মাত্র যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে কাজে। তাই শৌচাগারে যাওয়ার আগেও পরিচালকের অনুমতি নেওয়াটা বাঞ্ছনীয় বলে তিনি মনে করেন।
সমাজমাধ্যমে অমিতাভ লিখেছেন," আমি আলাদা করে কোনও নম্রতার পরিচয় দিইনি...বরং এটা ভীষণ স্বাভাবিক একটি বিষয়। খোদ পরিচালকও দেখছি এই ঘটনা নিয়ে অবাক। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, শুটিংয়ের সেটটি পরিচালকের...সময় মেপে সব ছকে রেখেছেন তিনি, ক্যাপ্টেনও তিনি। অন্যদিকে আমি একজন চাকর মাত্র যাঁকে এই কাজের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। তাই শৌচাগারে যাওয়ার আগেও পরিচালকের অনুমতি নেওয়া উচিত"।
এখানেই না থেমে এই বিষয়ে আরও বিশদে লেখেন 'শাহেনশাহ'। " হয়তো পরিচালক কোনও শট এমনভাবে ভেবে রেখেছেন যেখানে আমাকে হয়তো শেষমুহূর্তে ওঁর প্রয়োজন অথবা শুট করার আগে সহকর্মীদের সঙ্গে আমার একটি মহড়া দেখা ওঁর ভীষণ প্রয়োজন। আবার এও হতে পারে আমার দৃশ্যায়নের আগে লাইট সেটিং হচ্ছে, সেখানে আমার উপস্থিত থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। এরকম অনেককিছুই হতে পারে...তাই সেট ছেড়ে যাওয়ার আগে পরিচালককে জানিয়ে যাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আর সত্যি কথা বলতে কী, পরিচালকই আমাকে এই ছবিতে পাশ দিয়েছেন, শুটিংয়ে আমার শর্ট রেডি হওয়ার পর আমাকে ডেকে নিয়ে যান উনি... তাই সেট ছেড়ে বেরোনোর আগে ওঁর অনুমতি নেওয়া তো অবশ্যই জরুরি!"
'বিগ বি'র এই লেখা মুহূর্তেই হয়েছে ভাইরাল। এরপর বর্ষীয়ান তারকার প্রতি বিস্ময়, মুগ্ধতা প্রকাশ করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য বোধ করেননি নেট ব্যবহারকারীরা।
