ফের দুঃসংবাদ বলিউডে। প্রয়াত খ্যাতনামা অভিনেতা অচ্যুত পোতদার। সোমবার গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
বিটাউন সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন অচ্যুত পোতদার। থানের জুপিটর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। যদিও এখনও তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। মঙ্গলবার থানেতে অচ্যুৎ পোতদারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউডে৷
আরও পড়ুনঃ ‘সিকান্দর’-এর ভরাডুবির নেপথ্যে কি সলমন? ‘টাইগার’-এর ঘাড়েই কি সেই দোষ চাপালেন পরিচালক?
১৯৮০ সালের শেষের দিকে অভিনয় জগতে পা রাখেন অচ্যুত। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া থ্রি ইডিয়টস-এ কড়া অধ্যাপকের চরিত্রে তাঁর উপস্থিতি আজও দর্শকের মনে গেঁথে রয়েছে। বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছিল তাঁর সংলাপ “আরে, কেহনা ক্যা চাহতে হো”।
প্রথম জীবনে তিনি মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় অধ্যাপনা করতেন। সিনেমার জগতে আসার আগে ভারতীয় সেনাবাহিনিতে কর্মরত ছিলেন অচ্যুৎ। ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্থাতেও কাজ করেন তিনি। প্রাথমিকভাবে টেলিভিশনের দৌলতেই তাঁর অভিনয়ে আসা। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা, একের পর কাজে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অচ্যুৎ।
চার দশকেরও বেশি দীর্ঘ অভিনয় জীবনে কাজ করেছেন অচ্যুত পোতদার। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১২৫টিরও বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবি। বলিউডে পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়ার ছবিতে তাঁকে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ‘আক্রোশ’, ‘অ্যালবার্ট পিন্টো কো গুসসা কিউঁ আতা হ্যায়’, ‘অর্ধ সত্য’, ‘তেজাব’, ‘পরিন্দা’, ‘রাজু বন গ্যায়া জেন্টল ম্যান’, ‘দিলওয়ালে’, ‘রঙ্গিলা’, ‘বাস্তব’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘পরিণীতা’, ‘লগে রহো মুন্না ভাই’, ‘দাবাং ২’ থেকে ‘ভেন্টিলেটর’-এর মতো একগুচ্ছ বলিউড কমার্শিয়াল হিট ছবিতে দেখা গিয়েছে অভিনয় করেছেন বর্ষীয়ন অভিনেতা। সবেতেই তাঁর অভিনয় দর্শকের মহল প্রশংসিত হয়েছিল।
