আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক .৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট অর্ধেক শতাংশ কমিয়েছে। ফলে ঋণ নেওয়া আরও সস্তা হয়ে গিয়েছে। এই বছর এখন পর্যন্ত, আরবিআই তিনবার সুদের হার কমিয়েছে। এই হ্রাসের পরিমাণ মোট ১ শতাংশ। এই সিদ্ধান্তের পর, অনেক বড় ব্যাঙ্কও তাদের ঋণের দাম কমাতে শুরু করেছে। এই পর্বে, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাদের ঋণের সুদের হার কমানোর ঘোষণা করেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য ঋণ নেওয়া কিছুটা সহজ করে তুলবে।
পিএনবির নতুন ঋণের সুদের হার এবং প্রভাব
আরবিআই রেপো রেট কমানোর ফলে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক তাদের রেপো লিঙ্কড ঋণের সুদের হার কমিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই সুদের হার ছিল ৮.৮৫ শতাংশ, যা এখন ৮.৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে, এমসিএলআর এবং বেস রেটে এখনও কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। এই নতুন হার ৯ জুন থেকে কার্যকর হবে। যার অর্থ ঋণগ্রহীতারা কিছুটা স্বস্তি পাবেন এবং তাদের ইএমআই-তেও প্রভাব পড়বে।
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন ঋণের সুদের হার এবং প্রভাব
রেপো ভিত্তিক ঋণের হার কমিয়েছে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ব্যাংকের নতুন আরবিএলাৎ এখন ৮.৩৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে, যা আগে ৮.৮৫ শতাংশ ছিল। ৬ জুন থেকে এই নতুন হার কার্যকর হয়েছে। এর অর্থ হল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা এবার সস্তা ঋণের সুবিধা নিতে পারবেন।
আরবিআইট'য়ের এই ছাড় ঋণ নেওয়াকে সহজ করেছে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট .৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ফলে, সমগ্র ব্যাঙ্কিংক্ষেত্রে ঋণের খরচ কমছে। এখন ঋণগ্রহীতারা কম সুদে ঋণ পাবেন, যা তাদের বোঝা কমাবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে চাঙ্গা করবে। বিশেষ করে যখন মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, তখন এই ধরনের স্বস্তি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় সাহায্য বলে প্রমাণিত হবে।
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হল, সুদের হার হ্রাস আপনার ঋণের ইএমআই-এর উপরও সরাসরি প্রভাব ফেলবে, যা আপনার মাসিক আর্থিক দায় কমাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি এখনও কোনও বড় ঋণ না নিয়ে থাকেন বা নতুন ঋণ নেওয়ার কথা ভাবছেন, তাহলে ঋণ নেওয়ার জন্য এটিই সঠিক সময় হতে পারে।
বিনিয়োগের আগে পরামর্শ নিন
তবুও, ব্যাঙ্কিং এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত প্রতিটি পরামর্শ সাবধানে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনও ধরণের বিনিয়োগ বা বড় ঋণ নেওয়ার আগে, অবশ্যই আপনার আর্থিক উপদেষ্টা বা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন যাতে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এইভাবে, আরবিাই-এর রেপো রেট কমা এবং বড় ব্যাঙ্কগুলির ঋণের হার হ্রাসের ফলে, এখন মানুষের জন্য ঋণ নেওয়া কিছুটা সস্তা এবং সহজ হতে চলেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্যও একটি খুব ভাল লক্ষণ।
