আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে একটি দ্বিতীয় বাড়ির মালিক হওয়া জীবনধারার সুবিধা এবং দীর্ঘমেয়াদি মূল্য প্রদান করতে পারে। তবে এর সঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট কর সংক্রান্ত দায়বদ্ধতা ও আর্থিক বাধ্যবাধকতাও জড়িত যা প্রথম বাসস্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ভারতীয় কর আইনে, ভাড়ার আয়, মূলধনী লাভ এবং অন্যান্য নিয়ম দ্বিতীয় সম্পত্তির ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে প্রযোজ্য হয়। অনেক সময় ক্রেতারা মালিকানার প্রকৃত খরচ নির্ধারণে চলা খরচগুলি উপেক্ষা করেন।


ভারতের কর আইনে, একজন ব্যক্তি কেবল একটি বাড়িকে ‘স্ব-অধিভুক্ত’ বলে ঘোষণা করতে পারেন। অতিরিক্ত যে কোনও সম্পত্তিকে “ভাড়ার জন্য ধরা হয়েছে” বলে গণ্য করা হয়, তা ভাড়া দেওয়া হোক বা না হোক। এই নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় সম্পত্তি থেকে সম্ভাব্য ভাড়ার আয়কে ‘আবাসন সম্পত্তি থেকে আয়’ হিসেব করে কর আরোপ করা হয়।

আরও পড়ুন:  ভারত ঘুরতে হলে সঙ্গে রাখুন এই নোটগুলি, তাহলেই পাবেন ইতিহাসের অনুপ্রেরণা


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধু একটি বাড়িকে স্ব-অধিভুক্ত ধরা হয়। বাকি সব বাড়ি ‘deemed let out’ হিসেবে ধরা হয় এবং সেগুলোর সম্ভাব্য ভাড়ার উপর কর বসে, এমনকি তা খালি থাকলেও। দ্বিতীয় সম্পত্তির জন্য ‘সম্ভাব্য ভাড়া আয়’ নির্ধারণ করা হয় সেই অঞ্চলের বাজার অনুযায়ী। কর বিভাগ আশপাশের অনুরূপ সম্পত্তির ভাড়ার হার বিবেচনা করে এটি হিসাব করে।


তবে, মালিকরা ৩০% স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন এবং নির্দিষ্ট শর্তে গৃহঋণের সুদের উপর ২ লাখ পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। উত্তর গোয়ার মতো এলাকায় যেখানে ভাড়ার চাহিদা বেশি, সেখানে deemed income বেশি হতে পারে, তবে বর্তমান কর আইনে ছাড়ের সুযোগ রয়েছে। দ্বিতীয় সম্পত্তির মূলধনী লাভ কর নির্ভর করে কতদিন সম্পত্তি রাখা হয়েছে তার উপর। যদি দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাখা হয়, তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ইনডেক্সেশন সুবিধাসহ ২০% হারে কর আরোপ হয়।


যদি দুই বছরের মধ্যে বিক্রি করা হয়, তাহলে তা স্বল্পমেয়াদি লাভ হিসেবে ধরা হয় এবং ব্যক্তির আয় শ্রেণি অনুযায়ী কর আরোপ হয়। শুধু কর নয়, দ্বিতীয় বাড়ি মালিকানার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নিয়মিত ও পরিস্থিতিভিত্তিক ব্যয়। যা সময়ের সাথে জমে বড় অঙ্কে পৌঁছাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রপার্টি ট্যাক্স, সোসাইটি রক্ষণাবেক্ষণ ফি, ইউটিলিটি বিল, নিরাপত্তা পরিষেবা, ও বিমা প্রিমিয়াম।


ক্রেতাদের অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে নির্মাণাধীন বাড়ির ক্ষেত্রে জিএসটি, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভ্রমণ ব্যয় এবং প্রফেশনাল প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট পরিষেবার খরচ। দ্বিতীয় বাড়ি কেনার আগে কর, রক্ষণাবেক্ষণ, এবং অন্যান্য গোপন খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে এবং পরিকল্পনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সেখানে সমস্ত দিক বিবেচনা করে তারপর আপনি নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে আপনাকে আয়করের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। যদি এগুলি না মানেন তাহলে সেখান থেকে আপনাকে পেনাল্টি দিতে হতে পারে।