বছর শেষ হওয়ার আগে বড়সড় বিপাকে টলিউডের দুই তারকা, মিমি চক্রবর্তী এবং অঙ্কুশ হাজরা। দু'জনেরই নাম জড়িয়েছিল একটি বেআইনি বেটিং অ্যাপের সঙ্গে। তার জেরেই সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি অঙ্কুশ এবং মিমির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। বলাই বাহুল্য, এই ঘটনার জেরে রীতিমত হইচই পড়েছে টলিপাড়ায়। শোরগোলের আঁচ রাজনৈতিক মহলেও। বিশেষ করে যেখানে দুই অভিনেতারই ছবি মুক্তি পাচ্ছে আগামী মাসে। তার আগে এমন অঘটন ঘটল। এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভাল এই বেটিং অ্যাপের অর্থপাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে স্পোর্টস দুনিয়া থেকে বলিউডের একাধিক তারকার নামও। 

জানা গিয়েছে ২০০২ সালের প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অর্থাৎ পিএমএলএ-এর অধীনে ইডি এই পদক্ষেপ করেছে। মিমি চক্রবর্তীর ৫৯ লাখের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এদিন অঙ্কুশ হাজরার সম্পত্তির ক্ষেত্রে অঙ্কের পরিমাণ ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই কেসে নাম জড়িয়েছে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট টিমের সদস্য তথা জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা যুবরাজ সিং-সহ রবিন উথাপ্পার নাম। রয়েছে সোনু সুদ, উর্বশী রাউতেলা, নেশা শর্মার মতো বলিউড তারকাদের নাম। 

যুবরাজ সিংয়ের ২.৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে রবিন উথাপ্পার ৮.২৬ লাখ, উর্বশীর ২.০২ কোটি, সোনু সুদের ১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এই বেআইনি বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত তাঁরা ১৯.০৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, যার মধ্যে সম্প্রতি মিমি, অঙ্কুশের সম্পত্তি সহ ৭.৯৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভাল, এর আগে গত অক্টোবর মাসে আরও দুই ক্রিকেটার সুরেশ রায়না এবং শিখর ধাওয়ানের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সময় ইডি দুজনের মোট ১১.৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। 

২০২৩ সালে দেশে এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একাধিক সমাজমাধ্যম সহ বিভিন্ন সাইটে এটি সক্রিয় ছিল। আর সেটার হাত ধরেই প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তদন্তে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এই বেটিং অ্যাপের হয়ে প্রচারের জন্য উক্ত তারকারা আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এই সংস্থার নামে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত। দায়ভার নেয় ইডি। সম্প্রতি মিমি, অঙ্কুশদের তলব করেছিল ইডি। দিল্লিতে দু'জনে হাজিরাও দেন। চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাচ্ছে অঙ্কুশ হাজরার অভিনীত, প্রযোজিত ছবি 'নারী চরিত্র বেজায় জটিল'। তার আগে এই ঘটনায় ঘটায় অভিনেতা যে বেজায় বিপাকে পড়লেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে মিমি চক্রবর্তী অভিনীত 'ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল' ছবিটিও জানুয়ারি মাসেই মুক্তি পাচ্ছে।