আজকাল ওয়েবডেস্ক: বছরের প্রথমদিন ভক্তদের নিয়ে বনভোজন সারলেন দেবতা। বীরভূমের হেতমপুরে। রাজকীয়ভাবে এই দিনটিতে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ছাড়াও শ্রীকৃষ্ণ, গোপালজি এবং বনমালীকে নিয়ে ভক্তদের এই বনভোজনের প্রথা বহু বছর ধরেই চালু দুবরাজপুরের হেতমপুরের গৌরাঙ্গ মঠে। মন্দিরের পিছনে যে জঙ্গল আছে সেই জঙ্গলে ভগবানকে নিয়ে ভক্তরা মেতে ওঠেন বনভোজনে। বনভোজন শেষ হয়ে গেলে আবার তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় মূল মন্দিরে।
কেন এই প্রথা? গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ শ্রী ভক্তি বারিদী ত্রিদন্ডী মহারাজ জানিয়েছেন, এই রীতি বহু বছর ধরে চলে আসছে। ২০০৭ সালে এই দিনেই হেতমপুরের রাজা মাধবীরঞ্জন চক্রবর্তী তাঁদের হাতে মন্দির ও দেবতাদের সেবার দায়িত্ব তুলে দেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁরা নিজেরাও দিনটিকে একটু আলাদাভাবে পালন করেন। বনভোজনের মূল পদ চার রকমের হলেও ভক্তদের দেওয়া নানা পদের জন্য বেড়ে হয় ৫৫–৬০। উল্লেখযোগ্য পদের মধ্যে রয়েছে সাদা অন্ন, পুষ্পান্ন, খিচুড়ি, পরমান্ন’র মতো পদ। এছাড়াও থাকে নানারকম মিষ্টি।
বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের বাজনা ও হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে জাঁকজমকভাবে বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হয় পিছনের জঙ্গলে। রীতি মেনে হয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দূরদূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা।
