আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাওড়া পুরনিগমের ভিতরে বড়সড় দুর্ঘটনা। পুরনিগম চত্বরের ভেতর একটি গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল দু'জনের। পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম উমেশ মাহাতো ও নুর ইসলাম। উমেশ মাহাতো স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্বে ছিলেন নুর ইসলাম। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ পুরনিগমের কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, গাছটিতে পোকা ধরে গিয়েছিল। বারে বারে পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি বলেই মনে করছেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন পুর প্রশাসকমন্ডলীর প্রধান সুজয় চক্রবর্তী। সেখানে পৌঁছন তৃণমূল নেতা সুরজিৎ সাহা, প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই প্রমুখ। 

 

এই ঘটনার ব্যাপারে পুরনিগমের প্রাক্তন কর্মী শিবব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'গাছটা অনেকদিন ধরে পোকা ধরে হেলতে শুরু করেছিল। পুর কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অনেকবার জানানো হয়েছে। কিছু হয়নি। কর্মীদেরও সেই গাছটার কাছাকাছি যেতে বারণ করা হয়েছিল। এদিন দেখি গাছটা ভেঙে পড়েছে। অফিস টাইমে হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এতে পুর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে।' 

 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ হানিফ মণ্ডল বলেন, 'তিনজন চেয়ারে বসেছিলাম। হঠাৎই গাছ ভেঙে নুর ইসলাম এবং অশোক মাহাতোর গায়ে পড়ে। এখানে আমিও বসেছিলাম।' পুরকর্মী মলয় সরকার বলেন, 'গত মঙ্গলবার রাত প্রায় একটা পর্যন্ত গল্প করেছি। এদিন সকাল ৫:৪৫ নাগাদ হঠাৎ এই গাছটা পড়ে যায়। সেই সময় গাছের কাছে বসেই আড্ডা মারছিলেন সকলে। এই দুর্ঘটনায় দু'জন মারা যায়।' 

 

সেখানে উপস্থিত প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'সকালে খবর আছে কর্পোরেশনে একটা গাছ পড়ে গিয়েছে। এতে একজন নিরাপত্তাকর্মী নুর ইসলাম এবং একজন হেলথের কর্মী উমেশ মাহাতো জখম হন। পরে তাঁরা মারা যান। একজন নিরাপত্তাকর্মীর পায়ে আঘাত লাগে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।' 

 

হাওড়া পুরপ্রশাসকমন্ডলীর প্রধান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, 'এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক ঘটনা। ওই সময় তাঁরা গাছের উল্টোদিকে বসে ছিলেন। এটা অ্যাক্সিডেন্ট ছাড়া কিছু বলার নেই। মৃতদের পরিবারের জন্য হাওড়া পুরনিগম সবকিছু করবে। মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ব্যাপারে বলা হবে। মৃতের পরিবারের পাশে হাওড়া পুরো নিগম সবসময় থাকবে।'