আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বড়দিনে দিঘা জমজমাট। পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে মন্দারমণি, তাজপুরেও। শনিবার রাত থেকেই পর্যটকরা ঢুকেছেন দিঘা, মন্দারমণিতে। কেউ সপরিবারে ঘুরতে, তো কেউ পিকনিক করতে। যার ফলে অধিকাংশ হোটেলেই ঝোলানো হয়েছে ‘‌নো রুম’‌ বোর্ড। এদিকে, অঘটন এড়াতে সজাগ রয়েছে প্রশাসনও। ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত স্নানঘাটগুলিকে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই ধুম পড়েছিল সমুদ্রস্নানের। পর্যটকরা যাতে কোমর জলে না নামেন, সে জন্য সোমবার সকাল থেকেই সৈকতে মাইকিং করতে থাকেন নুলিয়ারা। নুলিয়া, পুলিশের পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্স কর্মীদেরও মোতায়েন রাখা হয়েছে সৈকতে। বিভিন্ন ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। চুরি, ছিনতাই এবং মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিপদগ্রস্ত মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘার উদয়পুর পর্যন্ত ‘উইনার্স টিম’ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এদিকে, বর্ষবরণের কথা ভেবে রংবেরঙের আলোয় সেজে উঠেছে দিঘা, মন্দারমণির বিভিন্ন হোটেল ও রাস্তাঘাট। পাশাপাশি মন্দারমণি, তাজপুরে হোটেল কিংবা রিসর্টে প্যাকেজ সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি রয়েছে এই প্যাকেজ সিস্টেম। এই দিনগুলির জন্য টানা বুকিং না নিলে ঘর মিলছে না মন্দারমণিতে, অভিযোগ এমনই। তাই একদিনের জন্য ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা সমস্যায় পড়েছেন। কোনও কোনও রিসর্টে একটি ঘরের জন্য দু’‌দিনের প্যাকেজে দাম উঠেছে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। অনেক অনুরোধে এক দিনের জন্য ওটা ১৫ হাজার। তার মধ্যে দেদার খানাপিনা থেকে শুরু করে গান–বাজনা থাকছে সবই।