আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় দু’বছর পর তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনাচক্রে এদিনই বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছিল, তবে কি বীরভূমের বেতাজ বাদশার জেলমুক্তির দিনেই তাঁর সাক্ষাৎ হবে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে? এদিন সকালে বীরভূমে ফিরে বাড়ি ঢোকার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বলেন, ‘আমি দিদিকে ভালোবাসি, দিদি আমাকে ভালোবাসেন’। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন তিনি।
এরপর জল্পনা আরও তীব্র হয় যে একান্তে বৈঠক হতে পারে মমতা ব্যানার্জি এবং অনুব্রত মণ্ডলের। অনুব্রতর বাড়ির কাছেই গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, অনুব্রতর বাড়ি থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরত্বে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করলেও সেখানে একবারও অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর এই নীরবতা জেলা রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল এখনও বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে রয়েছেন।
তবে তাঁর বাড়ি ফেরার পর দলের তরফে তাঁকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ফের একবার আক্রমণ করেন কেন্দ্রকে। বলেন, ‘বর্ষার কারণে বন্যা হয়নি। বন্যা হয়েছে ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে। রাজ্যের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং পাওয়ার সেক্রেটারি পদত্যাগ করেছেন’। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়েও। জানান, ‘মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে হত্যার পর শ্রমিকদের মৃতদেহ বাংলায় পাঠানো হচ্ছে। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। তবে মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে’।
