আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৩-এর সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়, থেকে ২০২৫-এ সেই রায় খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। দলীয় সাংবাদিক সম্মেলনে, শিক্ষামন্ত্রী বললেন, দীর্ঘ লড়াই, কুৎসা, আদালত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা, বিরোধীদের অপপ্রচারের পর যেন পূর্ণ হল একটা বৃত্ত। এরপর, এসএসসি'র যোগ্য চাকরিহারাদের যদি চাকরি ফেরানো যেতে পারে, তাহলে সম্পূর্ণ হবে বৃত্ত। আস্থা রাখতে বললেন সরকারের প্রতি। এদিন তিনি বলেন, 'এই সরকারের প্রতিই একমাত্র ভরসা করা যায়। যাঁরা আপনাদের পক্ষে ছিলেন, তাঁরা বিপক্ষে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনারা চিনে নিন সঙ্গে কারা আছে।' মনে করালেন, তৃণমূল কংগ্রেস, দল এবং সরকার এই চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
এর আগেই মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে বিকাশভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু। তার পরেই দলীয়ভাবে তিনি ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, 'মহামান্য ডিভিশন বেঞ্চের রায়, পর্যবেক্ষণ, যদি ভাল করে খুঁটিয়ে পড়া যায়, এটা আসলে দ্বিস্তরিক। একটা স্তর ৩২ হাজার বাংলার ভাই বোন দের চাকরি সুরক্ষিত রাখল। আর একটা স্তর, যেটা দেখা যাচ্ছে না, সেটা হল ছত্রে ছত্রে, সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে সমালোচনা করল, এসএসসি'র রায়কে সমালোচনা করল।' এই প্রসঙ্গে তিনি আদালতের পর্যবেক্ষণের বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেন সকলের সামনে-
বিচারকদের কাজ অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁত বের করা নয়।
আমরা বিচারকরা , মধ্যযুগের নাইট নই, যে ছদ্মবেশে, মাথায় হেল্মেট পরে, রাতের অন্ধকারে সমাজের ভালমন্দ খুঁজতে বেরবো।
আমাদের কখনও অতি সক্রিয় হওয়া উচিত নয়।
এতদিন পরে তাদের উপর নতুন করে পরীক্ষা চাপানো যায় না।
এদিন নাম না করেই, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে একহাত নেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, 'ছাব্বিশ হাজারের চাকরি গেল, চাকরি খাওয়ার বিনিময়ে কি আপনি এমপি হলেন? চাকরি খেয়েছেন বলে ভগবান হলেন, তারপর দেখা গেল ভগবান যুব্বা ছাড়লেন, এখন নিদ্রা গিয়েছেন, গলযোগ সইতে পারেন না।'
সঙ্গেই তিনি চরম কটাক্ষ করে বলেন, 'সমাজ নায়ক খুঁজছে। সমাজের নায়ক না হলে কষ্ট হয়। হিরো যে আসলে কতটা ভিলেন হতে পারে, হিরো আর ভিলেন যে আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, শোলে সিনামের মুদ্রার মতো। আজকের রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। ভগবান শয়তানে পরিণত হয়েছে। হিরো ভিলেনে পরিণত হয়েছে।'
তারপরেই দলীয় অবস্থান থেকে ব্রাত্য স্পষ্ট করে বলেন, ৩২ হাজার চাকরি সুরক্ষিত থাকল, এখন দলীয় স্তরে কাজ, মন্ত্রক এবং SSC যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যাতে চাকরিহারারা নতুন করে মাথা উঁচু করে সমাজে দাঁড়াতে পারেন, বিচারপতিদের ভাষায় তাঁদের পরিবারের উপর যে অপমান করা হয়েছে, যাতে তার পুনরুদ্ধার হয় তাঁরা যাতে মাথা উঁচু করে স্কুলে যেতে পারেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রতিনিধি হিসেবে, দলনেতার অভিষেক ব্যানার্জির প্রতিনিধি হিসেবে দলীয় স্তরে মন্ত্রককে দলীয় স্তর থেকে বলা হবে সুনিশ্চিত করতে।
