আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ পর্যটকদের ভিড়ে সরগরম উপকূল এলাকা দিঘা, মন্দারমনি ও তাজপুর। শীত পড়তেই পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের উপকূলীয় তিন গন্তব্য এখন উৎসবের জমজমাট প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। বড়দিন উপলক্ষে চলতি মাসের ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ৩১ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত একাধিক নামি–দামি হোটেল বিশেষ প্যাকেজ সিস্টেমে থাকার ব্যবস্থা, বুফে খাবার, লাইভ মিউজিক, নাচ–গান, বিচিত্রানুষ্ঠান ও ককটেল ডিনারের আকর্ষণীয় প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। 

পর্যটকদের জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বুফে সিস্টেমে ইলিশ, পমফ্রেট, মাটন, চিকেনের দেশি–বিদেশি বিভিন্ন পদ ছাড়াও রয়েছে স্পেশাল স্ন্যাক্স ও ডেজার্ট কাউন্টার। একাধিক হোটেলে থাকছে সাউন্ড সিস্টেম সহ লাইভ ডিজে নাইট, জনপ্রিয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সি–বিচে ওপেন–এয়ার মিউজিক শো। মাথাপিছু প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। 

হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, ‘‌এই বছর প্রশাসনের উদ্যোগে বড়দিন ও নববর্ষের রাতে সমুদ্রে বাজি পোড়ানো বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে। যা পর্যটকদের বাড়তি উৎসাহ দেবে। সেই কারণে হোটেলগুলির প্যাকেজ বুকিং ইতিমধ্যেই দ্রুত বাড়ছে।’‌ 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত উপকূল রোড, সৈকত এলাকা ও ভিড় বেশি এমন পয়েন্টে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের বাড়তি নজরদারি থাকবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, সুরক্ষা ব্যবস্থা, লাইফগার্ড মোতায়েন–সহ পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।

সব মিলিয়ে বড়দিন থেকে নববর্ষ–উৎসবের মরশুমে সরগরম হয়ে উঠতে চলেছে দিঘা, মন্দারমনি ও তাজপুরের সমুদ্র তীর।

কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত উপকূল রোড, সৈকত এলাকা ও ভিড় বেশি এমন পয়েন্টে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের বাড়তি নজরদারি থাকবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, সুরক্ষা ব্যবস্থা, লাইফ গার্ড মোতায়েন–সহ পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।


 শুধু তাই নয়, ঠাসা ভিড়ে কোনও দুষ্কৃতী যাতে সুযোগ না পায়, সেজন্য হোটেলগুলিতে বিশেষ নজরদারি ও চেকিং চলবে। সম্প্রতি গোয়ার মত ঘটনার বিষয় মাথায় রেখে সব রকম প্রস্তুতি থাকছে প্রশাসনের। অচেনা সন্দেহজনক পর্যটকদের গতিবিধিতেও কড়া নজর থাকছে। নুলিয়া ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম–সহ পুলিশের বিভিন্ন ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করা হবে।