মিল্টন সেন, হুগলি: ভোটের আবহে বাজার মাতল মিষ্টিতে বিভিন্ন রাজনীতিক দলের প্রতীক। ভোট গণনার আগেই প্রস্তুত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। মিষ্টিতে লাল, সবুজ, গেরুয়া প্রধান তিন রাজনৈতিক রঙের ছোঁয়া। জামাই ষষ্ঠীর আগেই মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে, তার মধ্যেই ভোটের সময় নানা মিষ্টিতে এবার বাজার মাতাচ্ছে রাজনীতির রঙ। বাঙালির উৎসব মানেই মিষ্টি, থাকবেই। লোকসভা নির্বাচন, মানে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে গণতন্ত্রের উৎসব। আর এই ভোটের আবহে রকমারি রাজনৈতিক দলের রঙ আর প্রতীকের মিষ্টি বাজার নিয়েছে।
আর কয়েকদিন পরেই জামাই ষষ্ঠী। জামাই ষষ্ঠীর আগেই এবার ভোটের মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল, বিজেপি, বাম, কংগ্রেস সব দলেরই প্রতীক দেওয়া সন্দেশ করেছে পান্ডুয়ার এক মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে লাল, গেরুয়া, সবুজ রঙের রসগোল্লা এবং সবুজ বোদের চাহিদাও রয়েছে ভালোই। ক্রেতারা বলছেন, ভোটের সময় নানা রকম মিষ্টি, একেবারে নতুনত্ব। ভোটে হারজিত থাকবে। তবে উৎসবে মিষ্টি মুখ চলবেই।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ পাল বলেছেন, অন্যান্য উৎসবের মতোই ভোটও একটা উৎসব। তাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক দেওয়া সন্দেশ হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার পরই এক্সিট পোল প্রকাশ হয়েছে, আর তখন থেকেই মিষ্টির বিক্রি বেড়েছে। বড় অর্ডারও আসছে। তৈরি হয়েছে বিভিন্ন দামের সন্দেশ। তিনি আশাবাদী, পাকাপাকি ভোটের ফল বেরোনোর পর মিষ্টির চাহিদা আরও বাড়বে। এই প্রসঙ্গে পান্ডুয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঘোষ বলেছেন, মিষ্টি যে রঙেরই হোক বাংলার মানুষ সবুজ মিষ্টিকে বেছে নিয়েছে। মঙ্গলবার সর্বত্র সবুজ ঝড় উঠবে। সবাই সেই অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে পান্ডুয়ার বিজেপি নেতা অমিতাভ ঘোষ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া ঝড় উঠছে। দেশে আবারও মোদি সরকার প্রতিষ্ঠা পাওয়া সময়ের অপেক্ষায়। ফল বেরোনোর পরই দেখা যাবে গেরুয়া মিষ্টির চাহিদা।