সম্পূর্ণা চক্রবর্তী, ভুবনেশ্বর
ঘড়িতে তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম যেন এক খণ্ড যুবভারতী। কে বলবে সুপার কাপের ফাইনাল ওড়িশাতে! ফাইনাল খেলবে স্থানীয় দল। নবীন পটনায়কের শহরে সেই আবেগ মিসিং। স্টেডিয়ামের বাইরে ওড়িশার লেশমাত্র নেই। বরং চারিদিকে লাল হলুদ। হোটেল থেকে স্টেডিয়াম আসার পথে রাস্তায় প্রচুর ইস্টবেঙ্গল সমর্থক দেখা গেল। সকলের পরণেই লাল হলুদ জার্সি, হাতে পতাকা। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের কাছে পৌঁছতেই যেন ইস্টবেঙ্গল দখল নিল। তিন নম্বর গেটের বাইরে সারি সারি জার্সি টাঙানো। সমর্থকে ছয়লাপ। কান পাতলেই একটাই নাম। মাঠে নামার আগেই ওড়িশাকে পেছনে ফেলে দিল লাল হলুদ। ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাসের চারটে বাস এসেছে। তাছাড়াও বহু সমর্থক ট্রেনে এবং সড়ক পথে এসেছে। লেকটাউন থেকে এসেছে একটি পরিবার। বাবা, ছেলে প্রদীপ চক্রবর্তী এবং প্রতাপ চক্রবর্তী ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। মা গৌরি চক্রবর্তী কট্টর মোহনবাগানি। প্রিয় দলের ডার্বি হারের পর ফাইনাল দেখতে আসার কোনও ইচ্ছে ছিল না তাঁর। কিন্তু পরিবারের বাকি দুই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের পাল্লায় পড়ে আসতে হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি লাল হলুদের জয় চান? উত্তরে শুধুই মুচকি হাসি। এভাবেই আজ বিভক্ত বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক মোহনবাগানি হয়তো বাংলার ফুটবলের স্বার্থে ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করবে। স্টেডিয়ামের বাইরে যেই চিত্রই হোক না কেন, গ্যালারি ৫০-৫০। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাজির ওড়িশার সমর্থকরাও। তবে তারমধ্যে স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীই বেশি। ডার্বির থেকে অনেক বেশি সমর্থক। ম্যাচের আগেই শুরু গ্যালারির তরজা। একে অপরকে টক্কর দেয় দুই দলের সমর্থকরা। তবে সংখ্যায় বেশি লাল হলুদ সমর্থকরা। ফাইনালে হাজির নবীন পাটনায়েক। ম্যাচের আগে ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অ্যাক্টিং সচিব সত্যনারায়ণ।
ঘড়িতে তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম যেন এক খণ্ড যুবভারতী। কে বলবে সুপার কাপের ফাইনাল ওড়িশাতে! ফাইনাল খেলবে স্থানীয় দল। নবীন পটনায়কের শহরে সেই আবেগ মিসিং। স্টেডিয়ামের বাইরে ওড়িশার লেশমাত্র নেই। বরং চারিদিকে লাল হলুদ। হোটেল থেকে স্টেডিয়াম আসার পথে রাস্তায় প্রচুর ইস্টবেঙ্গল সমর্থক দেখা গেল। সকলের পরণেই লাল হলুদ জার্সি, হাতে পতাকা। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের কাছে পৌঁছতেই যেন ইস্টবেঙ্গল দখল নিল। তিন নম্বর গেটের বাইরে সারি সারি জার্সি টাঙানো। সমর্থকে ছয়লাপ। কান পাতলেই একটাই নাম। মাঠে নামার আগেই ওড়িশাকে পেছনে ফেলে দিল লাল হলুদ। ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাসের চারটে বাস এসেছে। তাছাড়াও বহু সমর্থক ট্রেনে এবং সড়ক পথে এসেছে। লেকটাউন থেকে এসেছে একটি পরিবার। বাবা, ছেলে প্রদীপ চক্রবর্তী এবং প্রতাপ চক্রবর্তী ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। মা গৌরি চক্রবর্তী কট্টর মোহনবাগানি। প্রিয় দলের ডার্বি হারের পর ফাইনাল দেখতে আসার কোনও ইচ্ছে ছিল না তাঁর। কিন্তু পরিবারের বাকি দুই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের পাল্লায় পড়ে আসতে হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি লাল হলুদের জয় চান? উত্তরে শুধুই মুচকি হাসি। এভাবেই আজ বিভক্ত বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক মোহনবাগানি হয়তো বাংলার ফুটবলের স্বার্থে ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করবে। স্টেডিয়ামের বাইরে যেই চিত্রই হোক না কেন, গ্যালারি ৫০-৫০। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাজির ওড়িশার সমর্থকরাও। তবে তারমধ্যে স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীই বেশি। ডার্বির থেকে অনেক বেশি সমর্থক। ম্যাচের আগেই শুরু গ্যালারির তরজা। একে অপরকে টক্কর দেয় দুই দলের সমর্থকরা। তবে সংখ্যায় বেশি লাল হলুদ সমর্থকরা। ফাইনালে হাজির নবীন পাটনায়েক। ম্যাচের আগে ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অ্যাক্টিং সচিব সত্যনারায়ণ।
