আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা ২০-তে ডারবান সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কেপটাউনের রায়ান রিকেলটন দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি করেন। তবুও ১৫ রানে ম্যাচটা হারতে হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। 

ডারবান সুপার জায়ান্টস প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে করেছিল ৫ উইকেটে ২৩২ রান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কেপটাউন ৭ উইকেটে ২১৭ রানে থেমে যায়। ম্যাচে ৪৪৯ রান হয়। 

ডারবান সুপার জায়ান্টসের ২৩২ রান দক্ষিণ আফ্রিকা ২০-তে সর্বোচ্চ টোটাল। আগে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের ৩ উইকেটে ২০৪ রান ছিল সর্বোচ্চ। ম্যাচে ২৫টা ছক্কা ও ৪০টি বাউন্ডারি হয়। 

বোঝাই যাচ্ছে ব্যাটাররা চার-ছক্কার ঝড় তোলেন। এর মধ্যেই রায়ান রিকেলটন ৬৫ বলে ১১৩ রান করেন। ১১টি ছক্কা ও পাঁচটি চারে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। রিকেলটনের বিধ্বংসী ইনিংসে ম্যাচটা একসময়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রায় জিতে নিচ্ছিল। কিন্তু মধুরেণ সমাপয়েৎ আর হল না। 

১৩-তম ওভারের চতুর্থ বলে রিকেলটনের মারা একটি বিশাল ছক্কা গ্যালারিতে এক হাতে ক্যাচ ধরেন এক দর্শক। ওই ক্যাচ ধরার জন্য সেই দর্শক ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১.০৮ কোটি টাকা পান। দর্শকরা ক্যাচ ধরলে আর্থিক পুরস্কার পাবেন এমন ব্যবস্থা রয়েছে সাউথ আফ্রিকা ২০-তে। 

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ডারবানের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন দুর্দান্ত শুরু করেন। ৮.৩ ওভারেই ৯৬ রান তুলে ফেলে ডারবান। উইলিয়ামসন ২৫ বলে ৪০ রানে ফেরেন ত্রিস্টান লুজের বলে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কেপটাউনের ক্যাপ্টেন রশিদ খান মিড অফে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন। 

ডেভন কনওয়ে মারমুখী ইনিংস চালিয়ে যান। ৩৩ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। জস বাটলার ১২ বলে ২০ এবং হেনরিক ক্লাসেন ১৪ বলে চটজলদি ২২ রান করেন। ট্রেন্ট বোল্টের বলে কনওয়ে ফেরার পরে, আইডেন মার্করাম (১৭ বলে ৩৫) ও ইভান জোন্স (১৪ বলে অপরাজিত ৩৩) ডারবান সুপার জায়ান্টসকে পৌঁছে দেন ২৩২ রানে। 

 

রিকেলটনকে কেন্দ্র করেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কেপটাউনের রান তাড়া আবর্তিত হয়। শুরুতেই অবশ্য ভ্যান ডার ডুসেন (২) ফিরে যান। রিজা হেনড্রিকস ২১ বলে ২৮ রান করে আউট হন। তার পরেও রান তোলার গতি কমেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। রিকেলটনের সঙ্গে জ্যাসন স্মিথ (১৪ বলে ৪১) রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন। যদিও রিকেলটন ৮৫ রানে জীবন ফিরে পেয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান। তবুও শেষ হাসি তোলা ছিল না তাঁর জন্য। শেষ ওভারে জেতার জন্য ২২ রান দরকার ছিল। ডারবানের সিম বোলার ইথান বস মাথা ঠান্ডা রেখে বল করেন। রিকেলটনকে ফিরিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন।