বলিউডের আইকনিক কাপুর পরিবার এবার আসছে এক ছাদের নীচে, পর্দায়। আরমান জৈন প্রযোজিত ও নির্মিত নতুন শো ডাইনিং উইথ দ্য কাপুরস দর্শকদের নিয়ে যাবে রাজ কাপুরের কিংবদন্তি পরিবারে অন্দরে— যেখানে থাকবে হাসি-ঠাট্টা, নস্টালজিয়া, পারিবারিক গল্প আর খানদানি রসায়নের এক অনন্য মিশেল। এই বিশেষ অনুষ্ঠান রাজ কাপুরের জন্মের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি।
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছে অনুষ্ঠানের মুক্তির তারিখ ও একটি নতুন পোস্টার। পোস্টারে দেখা গিয়েছে রণধীর কাপুর, নীতু কাপুর, রীমা জৈন, রণবীর কাপুর, করিনা কাপুর খান, করিশ্মা কাপূর, ঋদ্ধিমা কাপুর সাহনি, আগস্ত্য নন্দা এবং নভ্যা নভেলি নন্দাকে। তবে পোস্টার প্রকাশের পরই ভক্তদের নজর পড়ে আলিয়া ভাটের অনুপস্থিতি। রণবীর-পত্নী হিসাবে এখন তিনিও সেই পরিবারেরই অংশ। অথচ তাঁকে দেখা গেল না কোথাও।
পোস্টারের ক্যাপশনে লেখা ছিল — ‘কাপুর পরিবারের লাঞ্চ ইনভাইট এসে গেছে, আর আপনি আমন্ত্রিত। দেখুন ‘ডাইনিং উইথ দ্য কাপুরস’, ২১ নভেম্বর থেকে, শুধুমাত্র নেটফ্লিক্সে।’
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Netflix India (@netflix_in)
পোস্টার প্রকাশের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে নানা প্রশ্ন। অনেকে অবাক — রণবীরের স্ত্রী এবং এখন কাপুর পরিবারেরই সদস্য আলিয়া ভাটকে কেন পোস্টারে রাখা হয়নি? কেউ কেউ বলছেন, হয়তো পোস্টারে শুধুমাত্র কাপুর পরিবারের রক্তসম্পর্কিত সদস্যদেরই রাখা হয়েছে, জীবনসঙ্গীদের নয়। তাই অনুপস্থিত করিনা কাপুরের স্বামী সইফ আলি খান, আরমানের স্ত্রী অনীশা মালহোত্রা জৈন এবং ঋদ্ধিমার স্বামী ভরত সাহনিও।
তবে দর্শকদের চোখে পড়েছে আরেকটা বিষয়— সইফ-অনীশা-ভরতদের নাম ক্যাপশনে উল্লেখ থাকলেও আলিয়ার নাম একেবারেই নেই। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আলিয়া ভাট কোথায়?’ অন্য জনের মন্তব্য, ‘নীতু কাপুর যদি থাকতে পারেন, তবে আলিয়া কেন নয়? ’ কেউ আবার বলেছেন, “আলিয়া তো এখন কাপুর পরিবারেরই অংশ, ওকে না রাখা ঠিক হয়নি।”
আরমানের কথায়, “কাপুর পরিবারকে একসঙ্গে টেবিলের চারপাশে বসানো মানেই এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে গল্প, হাসি, কোলাহল আর অফুরন্ত খাবারের আয়োজন। ‘ডাইনিং উইথ দ্যা কাপুরস’ আমার দাদু রাজ কাপুরকে শ্রদ্ধা জানানো এবং আমাদের পরিবারের চিরন্তন বন্ধন উদযাপনের এক উপায়।”
তিনি আরও বলেন, “নেটফ্লিক্সের মতো প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কাজ করে এই গল্পকে গোটা দুনিয়ার দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারা ভীষণই আনন্দের। আমার প্রযোজনা সংস্থা ‘আবশ্যক মিডিয়া’-র এই প্রকল্প আমাদের পরিবার, সিনেমা এবং স্মৃতির প্রতি এক আন্তরিক শ্রদ্ধার্ঘ্য।”