আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার সকালে দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে হাড়হিম দৃশ্য। আইএমটি চক এলাকায় এক বিদেশি যুবতীর রক্তাক্ত মৃতদেহ অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে। যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর গুরুগ্রাম পুলিশ দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবতীর বয়স আনুমানিক ৩২ থেকে ৩৫ বছর। এবং তিনি সম্ভবত উগান্ডার বাসিন্দা। মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তাঁর মাথা ও শরীরের ওপরের অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবতীর এক বন্ধু স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ করে, এবং পুরো ঘটনা জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবারই আইএমটি মানেসার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে দুই জনের নাম উল্লেখ থাকায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তে নামে এবং সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এহেন নৃশংস ঘটনার জেরে গুরুগ্রাম পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা সন্দীপ তুরান সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'রবিবার ভোরে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন আসে যে আইএমটি চক ফ্লাইওভারের নিচে একটি যুবতীর মৃতদেহ পড়ে আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে, যুবতীকে হয়তো চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে অথবা তাঁকে গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়া হয়েছে।'
প্রাথমিক তদন্তে ফরেনসিক দলের সহায়তায় মাথা ও শরীরের ওপরের অংশে গুরুতর জখমের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না, তা স্পষ্ট ভাবে বলা যাবে।
নিহত যুবতীর পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবারের মধ্যে গুরুগ্রামে পৌঁছাবেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী তদন্তের ধারা নির্ধারিত হবে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযুক্তদের খোঁজ করা হবে।
বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে, যাতে বোঝা যায় যুবতীকে ফ্লাইওভার থেকে ধাক্কা মেরে ফেলা হয়েছিল কি না। পাশাপাশি, ভারতে তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। অভিযুক্তদের তল্লাশি চলছে৷
