আজকাল ওয়েবডেস্ক: মিরাটের মাওয়ানার কৃষক ইন্টার কলেজে সহপাঠীদের হাতে বেধড়ক মার খেতে হল এক ছাত্রকে। বুধবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি কলেজ ক্যাফেটেরিয়ার কাছে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। আহত ছাত্র আজিমের মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, ক্লাস চলাকালীন আজিমের সহপাঠী দানিশ অভিযোগ করে যে আজিম নাকি তার শার্টে কলম চালিয়েছিল। আজিম এই অভিযোগ অস্বীকার করলে দানিশ প্রথমে ক্লাসরুমেই তাঁকে মারধর করে এবং আরও হুমকি দেয়। প্রায় দুপুর ১টা নাগাদ, আজিম যখন ক্লাস থেকে বেরিয়ে খাবার খাচ্ছিল, তখন দানিশ তার দাদাকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসে।

অভিযোগ, দু’জনের কাছেই টায়ার কাটার চাকু ছিল। তারা হঠাৎই আজিমের উপর হামলা চালায়। আক্রমণের সময় আজিমের ব্যাগ ছিঁড়ে যায় এবং তিনি একাধিক আঘাত পান। তাঁকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য ছাত্রছাত্রী এবং দোকানদাররা ছুটে এসে আজিমকে রক্ষা করেন। তবে হামলাকারীরা যাওয়ার সময় আজিমকে হুমকি দেয় যে, ‘এবার বেঁচে গিয়েছ, কিন্তু পরের বার রক্ষা পাবে না’। আহত ছাত্রের মা মাওয়ানা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া, ছেলের মেডিকেল পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং মামলা রুজুর দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এদিন হাড়হিম করা এক ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগরের গুরু নানক স্কুলে। গগনদীপ সিং কোহলি, ওই স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। এই মুহূর্তে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে, ক্লাসে গোলমালের কারণে এক পড়ুয়াকে চড় মেরেছিলেন সকলের সামনেই। ওই ছাত্র বুধবার স্কুলে আসে। টিফিন বক্সে বন্দুক নিয়ে। শিক্ষককে পিঠে গুলি করে সে। তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যে চিকিৎসক দেখাভাল করছেন শিক্ষকের, তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলি বের করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষকের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, ওই পড়ুয়ার নাম সমরথ বাজওয়া। বুধবার দুপুরে বিরতির পর, ক্লাস নিচ্ছিলেন ওই শিক্ষক।

ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, পড়ুয়া শিক্ষকের পিঠ তাক করে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সমরথ নিজের টিফিন বক্সে বন্দুক লুকিয়ে এনেছিল। ক্লাস শেষ করে শিক্ষক বেরনোর সময়, পিঠ তাক করে গুলি চালায় সে। তারপরে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ধরে ফেলেন অন্যান্য শিক্ষকরা। পুলিশ নাবালক ছাত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তবে ওই পড়ুয়া কীভাবে হাতের কাছে বন্দুক পেল এবং তা টিফিন বক্সে ভরে স্কুলে নিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে। তদন্ত জারি রয়েছে, তেমনটাই জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।