আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'বোহেমিয়ান ঘোড়া' ওয়েব সিরিজের 'আব্বাস'কে মনে আছে! পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরীর এই ওয়েব সিরিজে 'আব্বাস'-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা মুশারফ করিম। জনপ্রিয় এই ওয়েব সিরিজে আপনভোলা ট্রাক চালকের ভূমিকায় ছিলেন মুশারফ। বিভিন্ন জায়গায় সাতটি বউকে লুকিয়ে আট নম্বর বিয়ে করেন। কিন্তু শেষমেশ আটজন স্ত্রীই আব্বাসের কীর্তি জেনে ফেলেন। 

হায়দরাবাদেও 'আব্বাস'-এর মতো এক চরিত্রের যুবকের খোঁজ পেল পুলিশ। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যুবকের নাম, রফি। তিনি আট্টাপুর এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি থানায় এসে রফির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তাঁর এক স্ত্রী।‌ তবে রফি আটটি বিয়ে করেননি। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। এবং প্রথম দুই স্ত্রীর পরিচয় তিনি লুকিয়ে গিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে অশ্লীল নাচের আসর, নর্তকীর সঙ্গে কোমর দোলাচ্ছেন এই রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রধান, চুমুও খেলেন! তারপর যা হল

থানায় পৌঁছে রফির স্ত্রী জানিয়েছেন, মাস কয়েক আগেই তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। বিয়ের আগেও রফি অতীতের বিষয়টি কিছু জানাননি। বিয়ের কয়েক মাস পরেই রফি জানান, অতীতে তিনি দুইবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।‌ তাঁর দুই স্ত্রী আছেন। এটি তাঁর তৃতীয় বিবাহ। 

বিষয়টি জানাজানি হতেই তরুণী তুমুল অশান্তি শুরু করেন। কেন বিয়ের মতো বড় ঘটনাটি লুকিয়ে গেছেন, তা নিয়ে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করেন। বিষয়টি ঘিরে দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছয়। সেই অশান্তির জেরে রফির আসল রূপ প্রকাশ্যে আসে। যতবার অশান্তি হত, তখনই তৃতীয় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত রফি। 

আরও পড়ুন: ট্রেনে চড়ার আগে সাবধান, এই জিনিসগুলি সহ ধরা পড়লেই সোজা শ্রীঘরে ঠাঁই! সঙ্গে জরিমানাও

রফির তৃতীয় স্ত্রীর অভিযোগ, বহুবার বেধড়ক মারধর করেছেন রফি। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে যেতেন। কিন্তু তার সত্ত্বেও রফির আচরণে বদল হয়নি। তাঁর ধারণা, রফি তৃতীয়বার বিয়ে করার পরেও প্রথম দুই স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। লুকিয়ে লুকিয়ে হয়তো তাঁদের সঙ্গে দেখাও করেন। আদৌ প্রথম দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তরুণী। 

আরও পড়ুন: ফের সেই নীল ড্রাম রহস্য! ছাদে কাপড় শুকাতে গিয়েই পচা গন্ধে অজ্ঞান মালিক, ড্রামের ঢাকনা খুলতেই গায়ে কাঁটা, যা দেখল পুলিশ

লাগাতার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রফির তৃতীয় স্ত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রফির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগ ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগটি সত্যিই প্রমাণিত হলে, রফির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে তারা। জেল হেফাজতের পদক্ষেপ করা হতে পারে তাঁর বিরুদ্ধে। 

 

আদৌ রফি আগের দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিবাহ বিচ্ছেদের পর তৃতীয় বিয়ে করেছেন কি না, কেন বিষয়টি তৃতীয় স্ত্রীর কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন, তাও জেরা করে দেখছে তারা। তবে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন অভিযুক্ত যুবক।