প্যাচপ্যাচে গরমের পর বর্ষা খানিকটা স্বস্তি নিয়ে আসে বটে! তবে বৃষ্টির হাত ধরেই হাজির হয় একাধিক সমস্যা। বিশেষ করে এই মরশুমে ত্বক-চুলের বারোটা বাজে। তবে বৃষ্টির জলে চুল ভাল থাকে, এমনটা ধারণা বেশ প্রচলিত। তাই বৃষ্টিতে ভিজতেও পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু সত্যি কি বৃষ্টির জল চুলের জন্য উপকারী নাকি আখেরে ক্ষতি করে চুলের? আসুন জেনে নেওয়া যাক- 

বৃষ্টির জল সাধারণত অনেকটা ‘সফট ওয়াটার’ বা নরম ধরনের পজল হয়। এতে বিভিন্ন শক্তিশালী খনিজ লবণ যেমন ক্লোরিন, আয়রন বা ক্যালশিয়াম থাকে না। যা সাধারণ ট্যাপ বা কলের জলে থাকে। ফলে বৃষ্টির জলে চুল ভেজালে চুলে রুক্ষতা আসে না। চুল ও মাথার ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ মান ৪.৫ থেকে ৫.৫। বৃষ্টির জলের পিএইচ মানও প্রায় কাছাকাছি। ৫.৬। তাই বিশেষজ্ঞদের মত, এটি চুলের কিউটিকলকে ক্ষতি করে না, বরং খানিকটা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যাদের চুল রুক্ষ-শুষ্ক প্রকৃতির, তাঁদের পরিশ্রুত বৃষ্টির জল ব্যবহার করলে চুলের জেল্লা বাড়তে পারে। 

আরও পড়ুনঃ রাতে ব্রাশ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন? জানেন এই অভ্যাস কীভাবে আপনার মৃত্যুর বিপদ ডেকে আনে?

তবে বৃষ্টির জল যে সবসময়ে উপকারী হবে এমনটা নয়। বিশেষ করে যে এলাকার বৃষ্টির জলে ধুলাময়লা, সালফার ডাই–অক্সাইড ইত্যাদি দূষিত উপাদান বেশি থাকে অর্থাৎ চলতি ভাষায় যাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে সেটি চুলের জন্য মোটেই ভাল না। এই ধরনের বৃষ্টি মাথার ত্বকে  কিংবা ছত্রাকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ করে শুরু করে চুল পড়া কিংবা খুশকির প্রবণতাও বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও বর্ষাকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। ফলে ভেজা চুল না শুকালেই বিপদ। তাই যতই বৃষ্টির জলে ভিজুন না কেন, চুল শুকিয়ে নিতে ভুলবেন না। অনেক সময় চুলের গোড়ায় জীবাণু জমে চুলের গোঁড়াকে করে দিতে পারে দুর্বল।

সেক্ষেত্রে বৃষ্টির জলে ভিজলে অবশ্যই দ্রুত চুল শুকিয়ে নিন। প্রয়োজনে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করুন।  নিয়মিত হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ্ম হয়ে যায়। হেয়ার ড্রায়ারের গরম হাওয়া মাথার ত্বকেরও ক্ষতি করে, চুলের গোড়াকেও নষ্ট করে। ভিজে চুল ক্লিপ দিয়ে আটকালে কিংবা বাঁধলেও চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। 

আরও পড়ুনঃ উপবাসের দিন সাবুদানা খাচ্ছেন? স্বাস্থ্যকর এই সাবুদানা আদৌ আসল তো! জানেন ভেজাল খেলে হতে পারে কোন মারাত্মক ক্ষতি?

নিয়মিত অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। বৃষ্টির জল ব্যবহারের পর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। আর তারপর সবসময় কন্ডিশনার এবং সিরাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পু এবং তারপরই কন্ডিশনার ও সিরাম ব্যবহার করা জরুরি। তবে চুলের গোড়ায় কিংবা মাথার ত্বকে ভুলেও কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না।