আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাঁটলে শরীর ভাল থাকে। একথা জানেন অনেকেই। কিন্তু এটা কি জানেন যে নিয়মিত হাঁটলে কমে যেতে পারে বয়সও? লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত দ্রুত গতিতে (ঘন্টায় ৪ মাইলের বেশি) হাঁটেন, তাঁদের শরীরের গঠন, ক্রোমোজোমের গঠন, সর্বোপরি যৌবন ধীর গতিতে হাঁটা মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি ভাল থাকে।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
এর নেপথ্যে রয়েছে ক্রোমোজোমের টেলোমিয়ার নামের একটি অংশ। টেলোমিয়ার হল ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তে থাকা ডিএনএ-এর একটি বিশেষ অংশ। এটিকে দেখতে কিছুটা টুপি-র মতো, যা কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমোজোমকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোষ বিভাজনের ফলে টেলোমিয়ার ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে ক্রমশ কোষের বার্ধক্য দেখা দেয়। অর্থাৎ কোষগুলি আর বিভাজিত হতে পারে না। যখনই আর নতুন কোষ গঠিত হতে পারে না তখনই নানান ধরনের বার্ধক্যজনিত সমস্যা দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ৮৫ বছর বয়সে মাধ্যমিকে বসেও ফের অকৃতকার্য! ইনিই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক স্কুলছাত্র
গবেষণায় দেখা গেছে যে দ্রুত হাঁটলে (ঘন্টায় ৩ মাইলের বেশি গতিতে) এই টেলোমিয়ার দীর্ঘায়িত হয়। অর্থাৎ এটি প্রমাণ করে যে দ্রুত গতিতে হাঁটলে টেলোমিয়ারের ক্ষয় কমে। এর ফলে বার্ধক্যজনিত রোগও দূরে থাকে। সামগ্রিক ভাবে বয়স্ক হওয়ার গতিও ধীর হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, হাঁটার গতি বাড়লে, টেলোমিয়ারের ক্ষয় রোধের প্রক্রিয়াটি আরও বেশি করে বোঝা যায়। এই গবেষণার পর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মোট কতটা হাঁটছেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কত দ্রুত হাঁটছেন।
শুধু এই গবেষণাটিই নয়। অন্যান্য গবেষণাতেও দ্রুত হাঁটার সাথে দীর্ঘায়ুর যোগ পাওয়া গেছে। বিশেষত, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধীর গতিতে হাঁটা মানুষদের তুলনায় দ্রুত গতিতে হাঁটা মানুষদের আয়ু গড়ে ২০ বছর পর্যন্ত বেশি হতে পারে।