আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির রং এখন আর কেবল অন্দরসজ্জার বিষয় নয়। ঘরের রঙের সঙ্গে যোগ রয়েছে গৃহস্থের ভাল-মন্দও। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, প্রতিটি ঘরের রঙও আমাদের জীবনের উপর বিশাল প্রভাব ফেলে। অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞ এবং মনস্তত্ববিদেরা জানাচ্ছেন, রঙের সঙ্গে মানুষের মনের শান্তির যোগ রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র প্রাচীন এক বিজ্ঞান। এটি পরিবেশের সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্য রক্ষা করার এক প্রাচীন পদ্ধতি। ঘরের প্রতিটি কোণ, প্রতিটি রং, প্রতিটি দিক যদি সঠিকভাবে নির্বাচন করা যায়, তাহলে ঘরে শুধু সৌন্দর্যই নয়, আসবে ইতিবাচক শক্তিও।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
১. বসার ঘর: বসার ঘরে সাধারণত মানুষ আরাম আয়েশ করেন, পাশাপাশি এই ঘর অতিথি আপ্যায়ন, পরিবারের একত্রিত হওয়ার জায়গা। পরিবারের মিলনস্থল, অতিথি আপ্যায়নের জায়গায় হালকা বা নিউট্রাল শেড (যেমন অফ-হোয়াইট, হালকা ধূসর, বেইজ) ব্যবহার করলে ঘরকে বড় ও খোলামেলা দেখায়। উষ্ণ রং (যেমন হালকা হলুদ, পীচ) বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে। একটি দেওয়ালে গাঢ় অ্যাকসেন্ট রং (যেমন নেভি ব্লু, গাঢ় সবুজ) নাটকীয়তা আনতে পারে। লাল বা উজ্জ্বল কমলা অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরি করতে পারে, তাই এই দুই রং এড়ানো ভাল।
আরও পড়ুন: ৮৫ বছর বয়সে মাধ্যমিকে বসেও ফের অকৃতকার্য! ইনিই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক স্কুলছাত্র
২. শোওয়ার ঘর: বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী শোবার ঘরের জন্য সবচেয়ে উপযোগী রং হল হালকা নীল, হালকা বেগুনি, গোলাপি বা হালকা সবুজ। এই রংগুলি মানসিক প্রশান্তি দেয়, ঘুম ভালো হয় এবং দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত করে। শান্ত ও স্নিগ্ধ রং শয়নকক্ষের জন্য আদর্শ। এই ধরনের রং মনকে শান্ত করে। পাশাপাশি মাটির রং (যেমন ব্রাউন, বেইজ) আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। শয়ন কক্ষে কালো রং এড়িয়ে চলুন। এতে নেতিবাচক শক্তি আসে।
৩. খাবার ঘর: উষ্ণ ও আকর্ষণীয় রং (যেমন লাল, কমলা, টেরাকোটা) ক্ষুধা বাড়াতে ও সামাজিকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করেন অন্দরসজ্জা শিল্পীরা। মার্জিত ভাব আনতে গাঢ় নীল বা সবুজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. রান্নাঘর: হেঁসেলে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার রং (যেমন সাদা, হালকা হলুদ, হালকা নীল) সতেজতা ও পরিচ্ছন্নতার অনুভূতি দেয়। হালকা কমলা বা পীচ উষ্ণতা যোগ করতে পারে। ছোট রান্নাঘরে গাঢ় রং এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। গাঢ় রঙে ছোট ঘরকে আরও ছোট দেখায়। রান্নাঘর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থাকলে আগুন ও শক্তির সুষম ভারসাম্য বজায় থাকে।
৫. পড়ার ঘর বা অফিস: মনে করা হয় সবুজ, নীল ইত্যাদি রং মনোযোগ বৃদ্ধি করে। সৃজনশীলতা বাড়াতে পরিমিত হলুদ বা কমলা ব্যবহার করা যেতে পারে। অফিসে ধূসর বা বেইজ রং ব্যবহার করতে পারেন। এই রংগুলি পেশাদার পরিবেশ তৈরি করে। খুব উজ্জ্বল বা চটকদার রং এড়ানো উচিত, কারণ তা পড়াশোনায় মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়।
৬. পুজোর ঘর: পবিত্রতা এবং স্নিগ্ধতার প্রতীক হিসেবে এই ঘরে সাদা, হালকা হলুদ বা হালকা গোলাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী উত্তর-পূর্ব কোণে পূজোর ঘর থেকে শুভ লক্ষণ পাশাপাশি নরম রং থাকলে তাতে ধ্যান ও প্রার্থনার পরিবেশ তৈরি হয়।
