আজকাল ওয়েবডেস্ক: পিঁপড়ের জীবন সকলকে অনুপ্রাণিত করে। তবে এটা অনেকেই জানেন না যে কীভাবে তারা নিজেদের রাণীকে বেছে নিয়ে থাকে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এবিষয়ে বিরাট পরীক্ষা করেছেন। সেখান থেকেই তারা জানতে পেরেছেন কীভাবে পিঁপড়েরা নিজেদের রাণীকে বেছে নেয়।
পৃথিবীর পরিবেশ যেমন হোক না কেন পিঁপড়ে হল এমন একটি জাতি যাদের সহজে ধ্বংস করা যায়না। সেদিক থেকে দেখতে হলে এরা মাটির অতি গভীরে থেকেই নিজেদের বংশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যদি পৃথিবীর নিচে থাকা সমস্ত পিঁপড়ে ওপরে উঠে আসে তাহলে এখানে মানুষের থাকার জায়গা কম হয়ে যাবে। যেভাবে মাটির নিচে লাখ লাখ পিঁপড়ে থাকে সেটা সকলকে অবাক করেছে।


পিঁপড়ের মধ্যে রাণীকে সহজে দেখা যায় না। কারণ তিনি সহজে নিজের গর্ত থেকে বাইরে বের হন না। রাণীর দেহের আকারও খুব বেশি বড় হয় না। তবে যেভাবে একটি রাণী পিঁপড়ে হাজার হাজার ডিম পাড়তে পারে সেখান থেকে তার জায়গা বাকিদের মধ্যে সবার ওপরে থাকে। এর পিছনে একটি জিনগত কারণ রয়েছে। রাণী পিঁপড়ে যেকোনও ধরণের পরিস্থিতি এবং আবহাওয়াতে সহজে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। ফলে সেখান থেকে সারাবছর ধরে তার ডিম পাড়া সকলকে অবাক করে দেয়। প্রতি এক হাজার পিঁপড়ের মধ্যে একটি করে রাণী পিঁপড়ে জন্ম নেয়। তাকে এরপর নিজের কাজটি করে যেতে হয়। তার প্রধান কাজই হল ডিম দিয়ে বংশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেখান থেকে দেখতে হলে এটি পৃথিবীর একটি এমন বিস্ময় যে রাণী পিঁপড়ের এই ক্ষমতা অবাক করেছে গবেষকদের।


পৃথিবী শুরু থেকেই যে প্রাণীকে সবথেকে বেশি পছন্দ করেছে তার নাম পিঁপড়ে। এরা হল পৃথিবীর পরিবেশের এক অমূল্য উপাদান। এরা যুগের পর যুগ ধরে মাটির নিচে বসবাস করে চলেছে। এদের সামনে প্রচুর প্রজাতি তৈরি হয়েছে। আবার ধ্বংস হয়েছে। তবে পিঁপড়ের প্রজাতি শেষ হয়ে যায়নি। 
এবিষয়ে দুই বিজ্ঞানী কাজ করছেন। তাদের নাম হল সাবিন নুটেন এবং প্যাট্রিক স্কুনিস। তারা বহু বছর ধরেই পিঁপড়ের জীবন নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তাদের মতে, পৃথিবীতে পিঁপড়ের মতো প্রজাতি ২২ হাজার রয়েছে। তারা নিজেদের খেয়াল নিজেরা রাখতে পারে। নিজেরাই নিজেদের খাবার সংগ্রহ করে। সেগুলিকে যথাসময়ে ব্যবহার করে পৃথিবীতে টিকে থাকে। তাদের দলের একজন নেতা থাকে। তার কথামতো এরা চলতে থাকে। সেখানে কোনও ক্লান্তি নেই, কোনও অবসর নেই। দিনের ২৪ ঘন্টাই এরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকে।

আরও পড়ুন: মানুষের হাত ধরবে মেশিন, গোপনে কোন গবেষণা করছে চিন, জানলে...


বৃষ্টির সময় এরা নিজেদের গর্তকে নানাভাবে বাঁচিয়ে রাখে। যদি একদিক থেকে জল ঢুলে যায় তাহলে অন্যদিক থেকে এরা রাস্তা তৈরি করে নিতে পারে। এভাবেই এরা নিজেদের বংশকে বহু বছর ধরে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রার মধ্যেও এরা সহজে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। ফলে ইতিবাচক জীবনধারা এদেরকে বহু বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে। 


নিজেদের দেহের ওজনের তুলনায় বহু বেশি ওজন তুলতে এরা পটু। তাই সহজে এরা মাটি থেকে শুরু করে নানা খাবার বয়ে নিয়ে যেতে পারে। যদি একা না নিয়ে যেতে পারে তাহলে দলবেঁধে এই কাজটি করে। পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর সংখ্যা যদি একসঙ্গে করে নেওয়া হয় তাহলে তার সঙ্গে ৮০ শতাংশ বেশি করে হিসেব করলে যে সংখ্যা বের হবে সেটাই হবে পৃথিবীতে পিঁপড়ের সংখ্যা। এই সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে, কমার লক্ষণ নেই।