আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাজ সম্পূর্ণ করতে মাস্টারস্ট্রোক হল একটি সঠিক শেডের লিপস্টিক। ফ্যাশনিস্তারা সে কথা অস্বীকার করবেন না কখনওই। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে ত্বকে যেমন বলিরেখা বাড়ে তেমনই ঠোঁটেও ফাইনলাইন তৈরি হয়। ফলে, কম বয়সে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগালে সেটি যেমন মসৃণ থাকে, বয়স বাড়লে সেই মসৃণ ভাব হারিয়ে যায় কিছুটা। ঠোঁটে বেশ কিছু রেখা তৈরি হয়। যা লিপস্টিক পড়লে আরও নিখুঁত হয়ে ওঠে। প্রসাধনী বিশেষজ্ঞদের মতে এটিকে বলা হয় "লিপস্টিক ফেদারিং।" তবে বেশ কয়েকটি ব্যাপার আপনি যদি মেনে চলেন তবে পঞ্চাশেও আপনার ঠোঁট রাঙিয়ে তুলতে পারবেন পছন্দের লালে।
ওয়েট, থিক অ্যান্ড গ্লসি লিপস্টিক এড়িয়ে চলুন। অনেকেই ঠোঁটের কমনীয়তা বজায় রাখতে একটু তৈলাক্ত ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করেন। অল্প বয়সীদের জন্য ভাল। তবে পঞ্চাশ পেরোলেই এই ধরনের লিপস্টিকের ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। এমনকি লিপস্টিকের উপরে লিপগ্লসও ব্যবহার করবেন না। পরিবর্তে ম্যাট লং-ওয়ার লিপস্টিক রাখুন আপনার কিটিতে।
লিপস্টিক ব্যবহারের আগে কিছু পদক্ষেপ মেনে চলুন। একটি ম্যাটিফায়ার/ফিলার দিয়ে শুরু করুন। প্রথমে লিপলাইনার লাগান। ঠোঁট-ফিলিং প্রাইমার প্রয়োগ করুন। এতে লিপস্টিক এবং যেকোনও প্রাকৃতিক তেলের মধ্যে একটি বাধা তৈরি হবে। এর পরে ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। কনসিলার দিয়ে ঠোঁটের চারপাশে একটি ফাইন লাইন টানুন। এতে "লিপস্টিক ফেদারিং" হবে না।
নিয়মিত ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন। লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে মৃত কোষ সরে যাবে। ঠোঁট মসৃণ থাকবে।