আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় দিন পনেরো খোঁজ মিলছিল না মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বছর ৩৫-এর বিজয়ের। খোঁজ মিলছিল না স্ত্রী কোমলেরও। গত দু’ দিন ধরে নিখোঁজ তিনিও। ভাইয়ের কোনও খোঁজ না পেয়ে নালাসোপারা পূর্বের গড়্গাপাড়া এলাকায় বিজয়ের ভাইয়েরা তাঁর বাড়িতে যেতেই হতবাক।
যে তথ্যও উঠে এসেছে এখনও পর্যন্ত, তাতে পুলিশের অনুমান, প্রেমের পথে কাঁটা স্বামীকে সরাতে, পড়শি, প্রেমিক মনুর সঙ্গে মিলেই বিজয়কে খুন করেছেন কোমল। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ভাইয়ের খোঁজ না মেলায়, সোমবার সকালে বিজয়ের ভাইয়েরা বিজয়ের বাড়ি যান। সেখানে গিয়েই আচমকা নজর যায় মেঝের দিকে। আর সেখান থেকেই মোড় ঘুরে যায় ঘটনায়।
আরও পড়ুন: উড়ানের পরেই ভবনে ভেঙে পড়ল বিমান, মৃত্যু মিছিল পড়ুয়াদের, যেভাবে জুড়ে গেল আহমেদাবাদ-ঢাকা দুর্ঘটনা ...
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, বিজয়ের বাড়িতে যাওয়ার পর, তাঁর ভাইয়েরা খেয়াল করেন, মেঝের কিছু অংশের টাইলসের রঙ অন্যান্য জায়গার তুলনায় একেবারে পৃথক। সঙ্গে সন্দেহ বাড়ে পচা দুর্গন্ধে। সন্দেহ হতেই টাইলস ধরে টানাটানি শুরু করেন। আর তাতেই উদ্ধার হয় একটি গেঞ্জি। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সূত্রের খবর, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টাইলসের নীচ থেকে বিজয়ের দেহ উদ্ধার করে।
তথ্য, এলাকার প্রতিবেশী মনুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কোমল। মনে করা হচ্ছে, প্রেমিক মনুর সাহায্যেই স্বামীকে খুন করে নিজের বাড়ির মেঝেতেই পুঁতে দেন কোমল। দিন কয়েক ওই বাড়িতেই ছিলেন তিনি। পরে পরিস্থিতি বুঝে, দু’ দিন আগে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
দিন কয়েক আগেই প্রকাশ্যে এসেছে আরও একটি ঘটনা। দিল্লির, ৩৬ বছরের করন দেব এর মৃত্যুর পর প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, সময়ে এগোতেই খোলসা হচ্ছে যে, এই মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে এক ভয়ঙ্কর বিশ্বাসঘাতকতা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৩ জুলাই করণ দেব-কে তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা, মাতা রূপরাণী ম্যাগো হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।মহিলা দবি করেছিলেন যে, তাঁর স্বামী দুর্ঘটনাক্রমে বৈদ্যুতিক শক খেয়েছিলেন। অসুস্থকে দেখার পর হাসপাতালের কর্মীরা করণ দেব-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু মৃতের পরিবার ময়নাতদন্তের বিষয়টি করাতে গররাজি ছিল। কারণ তাঁরা বিশ্বাস করেছিলেন যে, দুর্ঘটনার জেরেই যুবকের প্রাণ গিয়েছে। তবে, মৃতের বয়স এবং মৃত্যুর পরিস্থিতি উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশ ময়নাতদন্ত করার জন্য জোর দেয়। সেই সময়েও মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর খুড়তুতো ভাই রাহুল আপত্তি জানায়। যদিও শেষপর্যন্ত দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার তিন দিন পর, মৃত করণের ছোট ভাই কুনাল পুলিশকে জানায় যে, সন্দেহ যে করণকে তাঁর স্ত্রী এবং বৌদির খুড়তুতো ভাই হত্যা করেছে। এমনকী তিনি সুস্মিতা এবং রাহুলের মধ্যে একটি ইনস্টাগ্রাম চ্যাটের প্রমাণও দিয়েছেন। যেখানে তাঁরা হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা ছিল।
সেই চ্যাটগুলি থেকে জানা যায় যে, মৃত করণের স্ত্রী এবং তাঁর শ্যালকের মধ্যে প্রেম ছিল, যার কারণে তারা করণকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাঁরা রাতের খাবারের সময় তাঁকে ১৫টি ঘুমের বড়ি দিয়েছিল। সেই খেয়ে করণ কতক্ষণে অজ্ঞান হয়ে যায় সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল। চ্যাট থেকে আরও জানা যায় যে, দম্পতি ঘুমের বড়িগুলি মৃত্যুর কারণ হতে কত সময় লাগবে তা গুগলে অনুসন্ধান করেছিলেন।
করণঅজ্ঞান হলে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেই সময়ে তাঁর স্ত্রী প্রেমিককে বলেছিলেন যে তিনি ঘুমোতে চান। শেষে, দু'জনেই করণকে বৈদ্যুতিক শকও দিয়েছিলেন যাতে এই মৃত্যুকে দুর্ঘটনাজনিত বলে মনে করা হয়।
