আজকাল ওয়েবডেস্ক: EPFO সদস্যদের জন্য বড় খবর। আপনি যদি চাকরিজীবী হন, তাহলে অবশ্যই আপনার একটি প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) অ্যাকাউন্ট থাকবে। প্রতি মাসে আপনার এবং আপনার কোম্পানি প্রদত্ত অবদানের পরিমাণ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। চাকরি পরিবর্তনের পরেও, পিএফ অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় থাকে এবং অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত বেতনের একটি অংশ এতে যোগ হতে শুরু করে। অনেক সময় ছেড়ে দেওয়া বা হারানোর মতো পরিস্থিতি হয়। এমন সময়ে এতদিনের জমা টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা থাকে। প্রশ্ন হল যে, অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় থাকলে, জমা হওয়া টাকার উপর কি সুদ পাওয়া যায়?

আসলে, EPFO এর জন্য কিছু নিয়ম নির্ধারণ করেছে এবং এর কিছু শর্ত রয়েছে।আগে থেকে সেগুলি বুঝতে হবে। এতে ভবিষ্যতে আপনার কোনও সমস্যা হবে না। জমা করা টাকার উপর সুদ শুধুমাত্র এই নিয়ম ও শর্তাবলীর অধীনেই দেওয়া হয়। পিএফ অ্যাকাউন্টটি EPFO ইনস্টিটিউট দ্বারা পরিচালিত হয় যা ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের আওতাধীন।

EPFO-এর সদস্য হওয়ার নিয়ম কী কী?
কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে EPF সদস্যপদ সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। EPFO-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, EPF সদস্যপদে কোনও বিধিনিষেধ নেই। কোম্পানি ত্যাগ করার পরও একজন ব্যক্তি তাঁর সদস্যপদ চালিয়ে যেতে পারেন। তবে, যদি আপনার শেয়ার পিএফ অ্যাকাউন্টে আসা বন্ধ হয়, তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে, অ্যাকাউন্টে সুদ অবশ্যই বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনমাথায় হাত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের, এ কী হল সোনার বাজারে

কখন সুদ জমা হয়?
কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যদি কোনও সদস্য পিএফ অ্যাকাউন্টে কোনও ধরণের অবদান না রাখেন, তাহলে ঠিক ৩ বছর পরে, এই অ্যাকাউন্টের সুদ বন্ধ হয়ে যায়।

বেকার থাকলে আপনি কত টাকা তুলতে পারবেন?
পিএফ অ্যাকাউন্ট ভবিষ্যতের জন্য একটি ভাল সঞ্চয় প্রকল্প। প্রতি মাসে কর্মচারীর বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়। কোম্পানিও একই অবদান রাখে। সরকার পিএফ অ্যাকাউন্টে ভাল পরিমাণ সুদ দেয়। এর সাহায্যে, আপনি ভবিষ্যতের জন্য একটি ভাল তহবিল জমা করতে পারেন।

আরও পড়ুন- এক লক্ষ জমা করলেই দু'বছরে হাতে আসবে কড়কড়ে ১৫১১৪ টাকা, জানুন এই প্রকল্প সমন্ধে

যদি কোনও ব্যক্তি চাকরি হারান বা বেকার হয়ে পড়েন, তাহলে তিনি তাঁর টাকা তুলতে পারবেন। এর জন্য, যদি তিনি এক মাস বেকার থাকেন, তাহলে তিনি তাঁর জমার পরিমাণের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত তুলতে পারবেন। অন্যদিকে, যদি তিনি ২ মাস বা তার বেশি সময় ধরে বেকার থাকেন, তাহলে তিনি পুরো টাকা তুলতে পারবেন।