আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা দেশে যেখানে ডিজিটাল পেমেন্টের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে সেখানে দেশের একমাত্র শহর রয়েছে যেখানে এই ডিজিটাল পেমেন্ট থেকে মুখ ফিরিয়েছে সকলেই।
বেঙ্গালুরু এবার থেকে ডিজিটাল পেমেন্টকে বুড়ো আঙুল দেখাল। তারা কোনও ধরণের ইউপিআই লেনদেন করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ছোটো দোকানদার, রাস্তার ধারে দোকানদার সকলেই ইউপিআই-কে বর্জন করল। তারা একেবারে হাতে হাতে নগদ নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তাদের দোকানের বাইরে তারা লিখে দিয়েছেন এখানে কোনও ইউপিআই চলবে না। শুধু নগদ চলবে।
স্থানীয় এক দোকানি জানিয়েছেন তিনি প্রতিদিন দোকান চালিয়ে সামান্য টাকা আয় করেন। সেখানে যদি তাকে জিএসটি দিতে হয় তাহলে তিনি বিরাট সমস্যায় পড়বেন। পাশাপাশি ইউপিআই পেমেন্ট করার পর তাকে টাকা তুলতে বারে বারে ব্যাঙ্কে যেতে হয়েছে। তিনি এর থেকে মুক্তি চান। তাই তিনি ফের একবার নগদ টাকাতে ফেরত যেতে চান।
এই ঘোষণার পর বেঙ্গালুরুর প্রশাসন বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। তারা মনে করছেন যেভাবে রাস্তার ধারে থাকা দোকানিরা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখান থেকে তাদের কাছে এবার জিএসটি নোটিশ আসতে পারে। সেখানে ইউপিআই পেমেন্ট করে তারা নিজেদের জিএসটি দিতে পারতেন। তবে তারা সেখান থেকে নিজেদের সরিয়ে দিয়েছেন। এটি সঠিক নয়। ফলে সকলকেই নোটিশ দেওয়া হবে।

বেঙ্গালুরুর কিছু ছোট ব্যবসায়ী ইউপিআই লেনদেন বন্ধ করে নগদ লেনদেনে ফিরে যাচ্ছেন। এর কারণ হল জিএসটি (পণ্য ও পরিষেবা কর) সংক্রান্ত সমস্যা এবং কর নোটিশের ভয়। অনেক ছোট ব্যবসায়ী যারা অনলাইনে পেমেন্টের জন্য কিউআর কোড ব্যবহার করতেন, তারা এখন তা সরিয়ে নিচ্ছেন এবং গ্রাহকদের নগদ টাকা দিতে বলছেন।
কিছু বিক্রেতা ইউপিআই পেমেন্ট নিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন এবং তাদের ব্যবসা অনিবন্ধিত হওয়ায় তদন্তের ভয় পাচ্ছেন। এর ফলে বেঙ্গালুরুতে ডিজিটাল পেমেন্টের পরিবর্তে নগদ লেনদেন আবার বাড়ছে।
আরও পড়ুন: পৈশাচিক উল্লাস! পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে আর কী উঠে এল
জিএসটি সংক্রান্ত সমস্যা: কিছু ছোট ব্যবসায়ী জিএসটি'র আওতায় আসেন না এবং তারা জিএসটি'র নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নন। তাই, তারা জিএসটি'র নোটিশ এবং জরিমানা এড়াতে ইউপিআই লেনদেন বন্ধ করে দিচ্ছেন।
হয়রানির ভয়: কিছু বিক্রেতা ইউপিআই লেনদেনের তথ্য ব্যবহার করে তাদের হয়রানি করা হতে পারে এই ভয়ে আছেন।
অনিবন্ধিত ব্যবসা: অনেক ছোট ব্যবসায়ী এখনও তাদের ব্যবসা নিবন্ধন করেননি, এবং ইউপিআই লেনদেন তাদের ব্যবসার তথ্য প্রকাশ করতে পারে, যা তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
প্রযুক্তিগত সমস্যা: কিছু ক্ষেত্রে, ইউপিআই পেমেন্টে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা যায়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সমস্যা তৈরি করে। ব্যবহারকারীরা মাঝে মাঝে লেনদেন করতে ব্যর্থ হন।
এই পরিস্থিতিতে, বেঙ্গালুরুর কিছু ছোট ব্যবসায়ী ইউপিআই পেমেন্ট বন্ধ করে নগদ লেনদেনে ফিরে যাচ্ছেন এবং তাদের গ্রাহকদেরও নগদ টাকা নিয়ে আসতে বলছেন।
তবে এই বিষয়টি এত সহজে শেষ হবে না বলেই অনেকে মনে করছেন। যদি দেশের প্রথম সারির এই শহরে ডিজিটাল লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেখান থেকে অনেকটা সমস্যায় পড়তে পারেন সেখানকার গ্রাহকরা। অনেকেই এখন ডিজিটাল লেনেদেনর ওপরেই ভরসা করে থাকেন। সেখানে এই ধরণের এই সিদ্ধান্ত তাদেরকে বিরাট সমস্যায় ফেলে দিতে পারে।
