আজকাল ওয়েবডেস্ক: আট বছর আগে ভারতে শুরু হয়েছিল জিএসটি। তারপর থেকে প্রতিটি সামগ্রীর ওপর জিএসটি বসেছে। তবে এবার সেই জিএসটি-তে বিরাট ধরণের পরিবর্তন ঘটতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পিএমও-র পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এবিষয়ে একটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফলে আগস্ট মাসের জিএসটি বৈঠকের পর দেশের জিএসটি পরিকাঠামোতে বিরাট পরিবর্তন ঘটতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।


জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ইতিমধ্যে এবিষয়ে একটি আলোচনা করেছে। ফলে সেখান থেকে নানা প্রস্তাব সামনে আসতে পারে। তবে সবার আগে যেটা আলোচনা হয়েছে সেটি হল কীভাবে জিএসটি পরিকাঠামোকে অনেক বেশি সরলীকরণ করা যায় সেদিকে আরও বেশি করে জোর দেওয়া।


এবারের বৈঠক থেকে জিএসটি-র ক্ষেত্রে করের পরিকাঠামোতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হতে পারে। সেখানে ছোটো ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রোজকার গ্রাহকরা আরও খানিকটা হলেও সুবিধা পেতে পারেন। ভারতের অর্থনীতির উন্নতির পিছনে জিএসটি-র একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সেখানে একে সঙ্গে রেখে কীভাবে আগামীদিনে এগিয়ে যাওয়ার যায় সেদিকে জোর দেওয়া হবে।


তবে যেখানে সবার আগে জোর দেওয়া হবে সেটি হল জিএসটি স্ল্যাব নিয়ে। বর্তমানে জিএসটি করের ক্ষেত্র রয়েছে শূন্য, ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ। তবে দামী ধাতুর ক্ষেত্রে এটি রয়েছে ০.২৫ শতাংশ এবং ৩ শতাংশ অতিরিক্ত হারে। ৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ সামগ্রী। ১২ শতাংশের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ সামগ্রী। ১৮ শতাংশের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ সামগ্রী। শুধুমাত্র ৩ শতাংশ রয়েছে সবথেকে বেশি ২৮ শতাংশের ঘরে।


তবে সরকার চিন্তাভাবনা করছে ১২ শতাংশ করের ঘরটিকে তুলে দেওয়ার জন্য সেখানে ১২ শতাংশ একেবারে চলে যেতে পারে ৫ শতাংশ বা ১৮ শতাংশের ঘরে। সেখানে সেই বস্তুটির প্রকৃতি সকলের নজরে থাকতে পারে। যদি এই নীতি করা হয় তাহলে সেখান থেকে জিএসটি বোঝার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষে আরও সহজ হবে। সাধারণ মানুষও অতি সহজে এটি বুঝতে পারবেন।


বহু পণ্যের জিএসটি এক ধাক্কায় কমে গেলে কেন্দ্র ও রাজ্য, উভয়ের আয় হ্রাসের আশঙ্কা করা যাচ্ছে। যে পণ্যগুলির তালিকা প্রাথমিকভাবে করা হচ্ছে, সেগুলির জিএসটি হার কমলে সার্বিকভাবে ৪০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। বেশ কিছু পণ্যের জিএসটি কমলে আর্থিক সঙ্কট বাড়বে। অন্যদিকে, দাম কমলে বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনাও আছে। ফলে পণ্যের দাম কমে গেলে যদি বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়, তাহলে লোকসান খুব একটা হবে না। ২০২৬ সালের মার্চ মাস থেকে রাজ্যগুলি আর জিএসটি ক্ষতিপূরণের সেস পাবে না। সুতরাং আর্থিক লোকসানের সম্ভাবনা থাকছেই। এসব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে কাউন্সিলের মন্ত্রিগোষ্ঠী সুপারিশ প্রস্তাব জমা দেবে কাউন্সিলে।

আরও পড়ুন:  ২১ বছর বয়সেই আপনার কন্যা হবে ৭১ লাখ টাকার মালিক, জেনে নিন কেন্দ্রীয় সরকারের


জিএসটি ব্যবস্থা চালু হওয়ার আগে থেকে চারটি ধাপে জিএসটির কাঠামো নির্ধারণ ঘিরে নানা মহল থেকে আপত্তি করা হয়েছিল। একটি বা দু’টি ধাপের মধ্যে করকাঠামোকে রাখার দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু আমল দেয়নি মোদি সরকার। ২০২২ সালে মোদি সরকার উপলব্ধি করে, জিএসটি ব্যবস্থা অতিজটিলতায় আক্রান্ত। জিএসটি কাঠামোয় বদল আনার উদ্দেশে কাউন্সিলে আলোচনা শুরু হয়। তা এখন বাস্তবায়নের পথে।